নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) ইশার প্রথম দু’রাক’আতে মুফাছছাল অংশের মধ্যম সূরাগুলো পাঠ করতেন।[1] তিনি কখনো ‘ওয়াশ শামসি ওয়ায্যুহা-হা’ (৯১ : ১৫) বা অনুরূপ সূরাগুলো পাঠ করতেন।[2] কখনো “ইযাসসামা-উন শাককাত’ (৮৪ : ২৫) পাঠ করতেন এবং এর ভিতর সাজদাহ করতেন।[3] একবার তিনি সফরে প্রথম রাকাআতে ওয়াততীনি ওয়ায যাইতুন (৯৫ : ৮) পাঠ করেন।[4] তিনি এই ছালাতে কিরা'আত দীর্ঘ করতে নিষেধ করেছেন।
আর এ নিয়ম তখনই করেছিলেন যখনঃ
صَلَّى مُعَاذُ بْنُ جَبَلٍ لِأَصْحَابِهِ الْعِشَاءَ. فَطَوَّلَ عَلَيْهِمْ فَانْصَرَفَ رَجُلٌ مِنَّا. فَصَلَّى فَأُخْبِرَ مُعَاذٌ عَنْهُ فَقَالَ: إِنَّهُ مُنَافِقٌ فَلَمَّا بَلَغَ ذَلِكَ الرَّجُلَ دَخَلَ عَلَى رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَأَخْبَرَهُ مَا قَالَ مُعَاذٌ فَقَالَ لَهُ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: أَتُرِيدُ أَنْ تَكُونَ فَتَّانًا يَا مُعَاذُ؟ إِذَا أَمَمْتَ النَّاسَ فَاقْرَأْ بِالشَّمْسِ وَضُحَاهَا، وَسَبِّحِ اسْمَ رَبِّكَ الْأَعْلَى، وَاقْرَأْ بِاسْمِ رَبِّكَ، وَاللَّيْلِ إِذَا يَغْشَى
فإنه يصلى وراءك الكبير والضعيف وذو الحجة
মুয়া’য (রাযিয়াল্লাহু আনহু) স্বীয় সাথীদেরকে নিয়ে ইশার ছালাত আদায় করেন। তিনি কিরা’আত দীর্ঘ করলে একজন আনসারী ছাহাবী জামা’আত ছেড়ে দিয়ে একাকী ছালাত পড়েন। মুয়াযকে এই সংবাদ দেয়া হলে তিনি বলেন- সে মুনাফিক হবে। লোকটি এ সংবাদ জানার পর আল্লাহ্র রাসূলের নিকট উপস্থিত হয়ে মুয়ায (রাযিয়াল্লাহু আনহু) এর কথা জানাল। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ হে মুয়ায! তুমি কি ফিৎনাবাজ হতে চাও? যখন লোকজনের ইমামত করবে তখন পড়বে ‘ওয়াশশামসি ওয়ায যুহা-হা’ (৯১ : ১৫) ‘সাব্বিহিসমা রাব্বিকাল আ’লা’ (৭৭ : ১৯) ‘ইক্বরা বিসমি রাব্বিকাল্লাযী খালাক’ (৯৬ : ১৯), ‘ওয়াল্লাইলি ইযা ইয়াগশা’ (৯২ : ২১) কেননা তোমার পিছনে বৃদ্ধ, দুর্বল ও (অদম্য) প্রয়োজন বিশিষ্ট লোক ছালাত পড়ে।[5]
[2] আহমাদ ও তিরমিযী— তিনি একে হাসান বলেছেন।
[3] বুখারী, মুসলিম ও নাসাঈ।
[4] বুখারী, মুসলিম ও নাসাঈ।
[5] বুখারী, মুসলিম ও নাসাঈ, এটা “আল ইরওয়া” গ্রন্থে উদ্ধৃত হয়েছে। (২৯৫)