নবী (সা.) এর ছলাত সম্পাদনের পদ্ধতি সালাত বিষয়ে বিস্তারিত মুহাম্মাদ নাছিরুদ্দিন আলবানী (রহ.)
وضعهما علی الصدر বুকের উপর হাত রাখা
নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বাম হাতের পিঠ, কব্জি ও বাহুর উপর ডান হাত রাখতেন।[1] এ বিষয়ে স্বীয় ছাহাবাগণকেও আদেশ প্ৰদান করেছেন।[2] তিনি কখনো ডান হাত দ্বারা বাম হাত আঁকড়ে ধরতেন।[3] তিনি হস্তদ্বয়কে বুকের উপর রাখতেন।[4] তিনি ছলাতে কোমরে[5] হাত রাখতে নিষেধ করতেন।[6] এটা মেরুদণ্ডে (হাত রাখায়) গণ্য যা থেকে তিনি নিষেধ করতেন।[7]
[1] আবু দাউদ, নাসাঈ (১/৫৪/২) ছহীহ সনদে, আর ইবনু হিব্বানও ছহীহ আখ্যা দিয়েছেন (৪৮৫)।
[2] মালিক, বুখারী ও আবু আওয়ানাহ।
[3] নাসাঈ, দারাকুতুনী, ছহীহ সনদ সহকারে। এ হাদীছ প্রমাণ করছে যে, হাত বাধা সুন্নাত। আর প্রথম হাদীছ প্রমাণ করছে যে, হাত রাখা সুন্নাত। অতএব উভয়টাই সুন্নাত। কিন্তু হাত বাধা ও হাত রাখার মধ্যে সমন্বয় বিধান করতে গিয়ে পরবর্তী হানাফী আলিমগণ যে পদ্ধতি পছন্দ করেছেন তা হচ্ছে বিদআত; যার রূপ তারা এভাবে উল্লেখ করেছেন যে, ডান হাতকে বাম হাতের উপর কনিষ্ঠ ও বৃদ্ধাঙ্গুলি দ্বারা আঁকড়ে ধরবে এবং অপর তিন অঙ্গুলি বিছিয়ে রাখবে (ইবনু আবিদীন কর্তৃক দুররে মুখতারের টীকা (১/৪৫৪)। অতএব হে পাঠক! পরবর্তীদের (মনগড়া) এ কথা যেন আপনাকে ধোকায় না ফেলে।
[4] আবু দাউদ, ইবনু খুযাইমাহ স্বীয় ছহীহ গ্রন্থে (১/৫৪/২) আহমদ, আবুশ শাইখ স্বীয় “তারীখু আছবাহান” গ্রন্থে (পৃষ্ঠা ১২৫) ইমাম তিরমিযীর একটি সনদকে হাসান বলেছেন। গভীরভাবে চিন্তা করলে এর বক্তব্য মুওয়াত্তা ইমাম মালিক এবং বুখারীতে পাওয়া যাবে। এ হাদীছের বিভিন্ন বর্ণনাসূত্র নিয়ে আমি “আহকামুল জানাইয” কিতাবের (১১৮) পৃষ্ঠায় বিস্তারিত আলোচনা করেছি।
জ্ঞাতব্যঃ বুকের উপর হাত রাখাটাই ছহীহ হাদীছ দ্বারা সাব্যস্ত। এছাড়া অন্য কোথাও রাখার হাদীছ হয় দুর্বল, আর না হয় ভিত্তিহীন। এই সুন্নাতের উপর ইমাম ইসহাক বিন রাহভিয়া আমল করেছেন। মারওয়াযী “আল-মাসাইল” গ্রন্থে ২২২ পৃষ্ঠাতে বলেন, ইসহাক আমাদেরকে নিয়ে বিতরের ছলাত পড়তেন এবং তিনি কুনুতে হাত উঠাতেন আর রুকুর পূর্বে কুনুত পড়তেন। তিনি বক্ষদেশের উপরে বা নীচে হাত রাখতেন। কাযী ইয়াযও “আল-ই’লাম” কিতাবের ১৫ পৃষ্ঠায় (রিবাত্ব তৃতীয় সংস্করণ) এ “ছলাতের মুস্তাহাব কাজ” বর্ণনার ক্ষেত্রে অনুরূপ কথা বলেছেন, ডান হাতকে বাম হাতের পৃষ্ঠের উপর বুকে রাখা। আব্দুল্লাহ ইবনু আহমাদের বক্তব্যও এর কাছাকাছি, তিনি তার “আল মাসাইল” এর ৬২ পৃষ্ঠায় বলেনঃ আমার পিতাকে দেখেছি, যখন তিনি ছালাত পড়তেন তখন তার এক হাতকে অপর হাতের উপর বুকের উপরস্থলে রাখতেন দেখুন “ইরওয়াউল গালীল” (৩৫৩)।
[5] এটা হচ্ছে কোমরের উপর হাত রাখা যেমন কোন কোন বর্ণনাকারী বর্ণনা করেছেন।
[6] বুখারী ও মুসলিম আর এটি “ইরওয়া” গ্রন্থেও উদ্ধৃত হয়েছে।
[7] আবু দাউদ, নাসাঈ ও অন্যান্যগণ।
[2] মালিক, বুখারী ও আবু আওয়ানাহ।
[3] নাসাঈ, দারাকুতুনী, ছহীহ সনদ সহকারে। এ হাদীছ প্রমাণ করছে যে, হাত বাধা সুন্নাত। আর প্রথম হাদীছ প্রমাণ করছে যে, হাত রাখা সুন্নাত। অতএব উভয়টাই সুন্নাত। কিন্তু হাত বাধা ও হাত রাখার মধ্যে সমন্বয় বিধান করতে গিয়ে পরবর্তী হানাফী আলিমগণ যে পদ্ধতি পছন্দ করেছেন তা হচ্ছে বিদআত; যার রূপ তারা এভাবে উল্লেখ করেছেন যে, ডান হাতকে বাম হাতের উপর কনিষ্ঠ ও বৃদ্ধাঙ্গুলি দ্বারা আঁকড়ে ধরবে এবং অপর তিন অঙ্গুলি বিছিয়ে রাখবে (ইবনু আবিদীন কর্তৃক দুররে মুখতারের টীকা (১/৪৫৪)। অতএব হে পাঠক! পরবর্তীদের (মনগড়া) এ কথা যেন আপনাকে ধোকায় না ফেলে।
[4] আবু দাউদ, ইবনু খুযাইমাহ স্বীয় ছহীহ গ্রন্থে (১/৫৪/২) আহমদ, আবুশ শাইখ স্বীয় “তারীখু আছবাহান” গ্রন্থে (পৃষ্ঠা ১২৫) ইমাম তিরমিযীর একটি সনদকে হাসান বলেছেন। গভীরভাবে চিন্তা করলে এর বক্তব্য মুওয়াত্তা ইমাম মালিক এবং বুখারীতে পাওয়া যাবে। এ হাদীছের বিভিন্ন বর্ণনাসূত্র নিয়ে আমি “আহকামুল জানাইয” কিতাবের (১১৮) পৃষ্ঠায় বিস্তারিত আলোচনা করেছি।
জ্ঞাতব্যঃ বুকের উপর হাত রাখাটাই ছহীহ হাদীছ দ্বারা সাব্যস্ত। এছাড়া অন্য কোথাও রাখার হাদীছ হয় দুর্বল, আর না হয় ভিত্তিহীন। এই সুন্নাতের উপর ইমাম ইসহাক বিন রাহভিয়া আমল করেছেন। মারওয়াযী “আল-মাসাইল” গ্রন্থে ২২২ পৃষ্ঠাতে বলেন, ইসহাক আমাদেরকে নিয়ে বিতরের ছলাত পড়তেন এবং তিনি কুনুতে হাত উঠাতেন আর রুকুর পূর্বে কুনুত পড়তেন। তিনি বক্ষদেশের উপরে বা নীচে হাত রাখতেন। কাযী ইয়াযও “আল-ই’লাম” কিতাবের ১৫ পৃষ্ঠায় (রিবাত্ব তৃতীয় সংস্করণ) এ “ছলাতের মুস্তাহাব কাজ” বর্ণনার ক্ষেত্রে অনুরূপ কথা বলেছেন, ডান হাতকে বাম হাতের পৃষ্ঠের উপর বুকে রাখা। আব্দুল্লাহ ইবনু আহমাদের বক্তব্যও এর কাছাকাছি, তিনি তার “আল মাসাইল” এর ৬২ পৃষ্ঠায় বলেনঃ আমার পিতাকে দেখেছি, যখন তিনি ছালাত পড়তেন তখন তার এক হাতকে অপর হাতের উপর বুকের উপরস্থলে রাখতেন দেখুন “ইরওয়াউল গালীল” (৩৫৩)।
[5] এটা হচ্ছে কোমরের উপর হাত রাখা যেমন কোন কোন বর্ণনাকারী বর্ণনা করেছেন।
[6] বুখারী ও মুসলিম আর এটি “ইরওয়া” গ্রন্থেও উদ্ধৃত হয়েছে।
[7] আবু দাউদ, নাসাঈ ও অন্যান্যগণ।