তৃতীয় সংশয়ঃ আপনারা যে সুন্নাহ অনুসরণ এবং এর বিপরীতে ইমামদের কথা পরিত্যাগের দাওয়াত দেন তার অর্থ তাঁদের কথাকে সম্পূর্ণভাবে পরিত্যাগ করা এবং তাদের গবেষণা ও মতামত থেকে মোটেই উপকৃত না হওয়ার আহবান বলে মনে হয়। আমি বলবঃ এই ধারণাটি সঠিকতার অনেক দূরে, বরং তা প্রকাশ্যভাবে বাতিল যেমনটি পূর্বোক্ত কথাগুলো থেকে প্রতিভাত হয়, কেননা সব কয়টি কথাই উক্ত ধারণার বিপরীত অর্থ বহন করছে। আমরা যে বিষয়টির দিকে দাওয়াত দান করি তার সবই হচ্ছে এই যে, মাযহাবকে দীন রূপে গণ্য করা যাবে না এবং তাকে কুরআন ও হাদীছের স্থলে এমনভাবে আসন দেওয়া চলবে না যে, বিবাদ মিটানোর ক্ষেত্রে অথবা নবোদ্ভাবিত সমস্যার নতুন বিধান বের করার উদ্দেশ্যে তার দিকেই প্রত্যাবর্তন করতে হবে। যেমন করে থাকে বর্তমান যুগের ফকীহরা। তারা শুদ্ধ অশুদ্ধ হক বাত্ত্বিল জানার জন্যে কুরআন হাদীছের শরণাপন্ন হওয়া ছাড়াই বিবাহ, তালাক ইত্যাদির নতুন বিধিবিধান প্রণয়ন করেছেন। আর এক্ষেত্রে তাদের তরীকাহ (নীতি বা পথ) হচ্ছে- (اختلافهم رحمة) অর্থঃ তাদের মতভেদ হচ্ছে রহমাত এবং সুযোগ ও সুবিধা- স্বার্থের অন্বেষণ। সুলাইমান তামীমী (রাহিমাহুল্লাহ) কতইনা সুন্দর বলেছেনঃ
إن أخذت برخصة كل عالم اجتمع فیك الشرکله
অর্থঃ তুমি যদি প্রত্যেক আলিমের প্রদত্ত সুযোগ গ্রহণ কর তবে সব অনিষ্ট তোমার মধ্যে একত্রিত হবে। ইবনু আব্দিল বার এটি বর্ণনা করে (২/৯১-৯২) বলেন, এটি সর্বসম্মত কথা। এ বিষয়ে কোন মতানৈক্য আছে বলে আমার জানা নেই। আমরা (উপরোক্ত নীতিরই) প্রতিবাদ করি যা সর্বসম্মত ব্যাপার যেমন আপনি দেখেছেন। আর তাদের কথার দিকে প্রত্যাবর্তন করা, তা থেকে উপকৃত হওয়া, বিতর্কিত যে সব বিষয়ে কুরআন হাদীছের স্পষ্ট প্রমাণ নেই সেগুলোর সঠিক অবস্থা বুঝতে সহযোগিতা নেওয়া অথবা যে সব বিষয় ব্যাখ্যার অপেক্ষা রাখে তা বুঝতে যাওয়া এটাতো আমরা অস্বীকার করি না বরং এ ব্যাপারে নির্দেশ দান করি এবং উৎসাহ যোগাই, কারণ এ থেকে ঐ ব্যক্তির উপকৃত হওয়ার আশা করা যায়- যে কুরআন হাদীছের হিদায়াত গ্রহণের পথ অবলম্বন করে।
আল্লামা ইবনু আব্দিল বর (রাহিমাহুল্লাহ) বলেন (২/১৭২)- হে ভাই তোমার উপর মৌলনীতি মুখস্থ করা এবং তা সংরক্ষণ করা অপরিহার্য। আর জেনে রাখুন, যে ব্যক্তি সুন্নাহ্ এবং কুরআনের স্পষ্ট বিধানগুলো সংরক্ষণ করেছে এবং ফকীহদের কথার ভিতর দৃষ্টি দিয়েছে এবং এটাকে তার গবেষণা কার্যের সহযোগী বিবেচনা করেছে এবং তাকে চিন্তা গবেষণার চাবিকাঠিরূপে গণ্য করেছে ও একাধিক অর্থ সম্ভাবনাময় হাদীছসমূহের ব্যাখ্যা হিসাবে গ্রহণ করেছে। আর তাদের কোন একজনের এমনভাবে অন্ধ অনুসরণ করেনি যেরূপ করতে হয় হাদীছের ক্ষেত্রে, যার আনুগত্য সর্বাবস্থায় ও কোনরূপ চিন্তাভাবনা ছাড়াই ওয়াজিব, আর সে নিজেকে মুক্ত রাখেনি ঐ কাজ থেকে যে কাজে উলামাগণ নিজেদেরকে নিয়োজিত রাখতেন তথা হাদীছ মুখস্থ করা ও তাতে চিন্তা নিবন্ধ রাখা থেকে। বরং গবেষণা, বুঝা এবং চিন্তাভাবনায় তাঁদের পদাঙ্ক অনুসরণ করেছে এবং সর্বোপরি সে তাদের অবগতি দান ও অবহিত করানোর পরিপ্রেক্ষিতে ব্যয়িত শ্রমের শুকরিয়া করেছে। তাদের প্রদত্ত সঠিক সিদ্ধান্ত-যার পরিমাণই বেশী রয়েছে এর উপর তাদের প্রশংসা করেছে, তারা নিজেদেরকে যেমন ক্ৰটি মুক্ত দাবী করেননি ঠিক তদ্রুপ তাদেরকে ত্রুটিমুক্ত জ্ঞান করেনি, তবে সেই হবে ঐ বিদ্যান্বেষী যে পূর্বসুরী সৎ ব্যক্তিগণের আদর্শে অটল, তার অধিকার আদায়ে সার্থক, সঠিক পথ প্ৰদৰ্শিত, নাবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-এর সুন্নাতের এবং তাঁর ছাহাবা (রাযিয়াল্লাহ। আনহুম)-দের আদর্শের অনুসারী।
পক্ষান্তরে যে নিজেকে চিন্তা-গবেষণা থেকে দূরে রেখেছে এবং আমরা যা উল্লেখ করেছি তা থেকে বিমুখ রয়েছে এবং স্বীয় মতামত দ্বারা হাদীছের বিরোধিতা করেছে এবং নিজের দৃষ্টিভঙ্গির দিকে অন্যকে ঠেলে দিতে চায় সেনিজে পথভ্রষ্ট এবং অপরকে ভ্ৰষ্টকারী, আর যে ব্যক্তি এসবের কিছুই না জেনে বিদ্যাহীনভাবে ফতওয়াদানে প্রবৃত্ত হয় সে আরো কঠিন অন্ধ এবং আরো অধিক পথভ্ৰষ্ট ।
কবি বলেনঃ
فهذا هو الحق ما به خفاء فدعنی عن بنیات الطریق
অর্থঃ এটাই চির সত্য যাতে কোন অস্পষ্টতা নেই, অতএব তুমি আমাকে নানারূপ পথ থেকে বাঁচতে দাও, স্পষ্ট পথসমূহ অবলম্বন করতে ছেড়ে দাও।
চতুর্থ সংশয়ঃ কিছু অন্ধ অনুসারীর নিকট একটি ভুল ধারণা প্রচলিত আছে যা তাদেরকে ঐসব হাদীছ অনুসরণ করা থেকে বিরত রাখে মাযহাব যার বিপরীত বলে প্রতীয়মান হয়েছে। তাদের ধারণা যে, সুন্নাহর অনুসরণ করলে মাযহাবের ইমামগণকে ভুল প্রতিপন্ন করা অনিবাৰ্য হয়। ভুল ধরার অর্থ তাদের নিকট ইমামদেরকে দোষারোপ করা আর যেখানে সাধারণ একজন মুসলিমকে দোষারোপ করা বৈধ নয়। সেখানে তাদের মতো একজন ইমামকে কিভাবে দোষারোপ করা যাবে?
উত্তর এই যে, এ ব্যাখ্যা বাতিল। এর কারণই হচ্ছে হাদীছ অনুধাবন করা থেকে বিমুখতা, নচেৎ কিভাবে একজন বিবেকবান মুসলিম এরূপ ব্যাখ্যা দিতে পারে? যেখানে রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেনঃ হাকিম যদি গবেষণা করে কোন ফায়াছালা দেন এবং তাতে সঠিক সিদ্ধান্তে পৌঁছতে সক্ষম হন তবে তাঁর জন্য দু'টি প্রতিদান রয়েছে আর তিনি যদি গবেষণা করে ফয়ছালা দিয়ে তাতে ভুল করে ফেলেন তাহলে তার জন্যে একটি প্রতিদান রয়েছে।[1]
এ হাদীছই উপরোক্ত ব্যাখ্যাকে প্ৰত্যাখ্যান করছে এবং পরিষ্কারভাবে একথা বলে দিচ্ছে যে, অমুক ব্যক্তি ভুল করে, শরীয়তের দৃষ্টিতে এর অর্থ “অমুক ব্যক্তি একটি প্রতিদান পাবে”। এবার যে ব্যক্তি ভুল ধরল। তার ষ্ঠতে যখন সেই (ভুলকারী) ব্যক্তি প্রতিদান প্রাপ্ত বলে বিবেচিত হল, তবে তার ভুল ধরার উপর কী করে এ ধারণা করা চলতে পারে যে, সে ঐ ব্যক্তিকে দোষারোপ করেছে? নিঃসন্দেহে এ ধারণা ভুল। যারাই এ ধারণা পোষণ করে তাদের জন্য এ ধারণা থেকে ফিরে আসা ওয়াজিব, নচেৎ সেই হবে মুসলিমদেরকে দোষারোপকারী। আর তা কোন এক সাধারণ ব্যক্তিকে নয় বরং মুসলিমদের বড় বড় ইমাম তথা ছাহাবা, তাবিঈন, আইম্মায়ে মুজাতাহিদীন সহ অন্যান্যদেরকেও দোষারোপকারী হবে। কেননা আমাদের অবশ্যই জানা আছে যে, যখন এই মনীষীগণ একজন অপরজনের ভুল ধরতেন এবং তাদের একজন অপরজনের প্রতিবাদ জানাতেন[2] তবে কি কোন বিবেকবান একথা বলবে যে, তাদের একজন অপরজনকে দোষারোপ করতেন এবং বিশুদ্ধরূপে সাব্যস্ত হয়েছে যে, আবু বকর (রাযিয়াল্লাহু আনহু) জনৈক ব্যক্তির স্বপ্নের তা'বীর করলে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) তাঁর ভুল ধরে বলেছিলেন “তুমি কিছু সঠিক বলেছ। আর কিছু ভুল বলেছ”।[3] তাহলে কি তিনি এর মাধ্যমে আবু বকরকে দোষারোপ করেছেন।
এ ভ্রান্ত ধারণা পোষণকারীদের উপর এর আশ্চর্যজনক প্রভাব পড়েছে। আর তা হচ্ছে এই যে, এ ধারণা তাদেরকে স্বীয় মাযহাব বিরোধী হাদীছ মানতে বাধা প্রদান করছে, কেননা তাদের নিকট এ ক্ষেত্রে হাদীছ মান্য করার অর্থ ইমামকে দোষারোপ করা, পক্ষান্তরে, হাদীছের বিরুদ্ধে হলেও ইমামকে অনুসরণ করায় রয়েছে তার সম্মান ও শ্রদ্ধা। তাই, তারা ধারণাকৃত দোষারোপ করা থেকে মুক্ত হওয়ার জন্যে তার অন্ধ অনুসরণে অটল থাকে।
তারা অবশ্যই ভুলে গেছে (ভুলে যাওয়ার ভান করেছে বলব না) যে, তারা এই ধারণার মাধ্যমে এমন বিভ্রান্তির মধ্যে পতিত হয়েছে যা ঐ বিষয়ের তুলনায় আরো মারাত্মক যেটি থেকে তারা রেহাই পেতে চেয়েছিল। কারণ তাদেরকে যদি কেউ বলেঃ অনুসরণ যখন অনুসরণীয় ব্যক্তির সম্মান বুঝায় এবং তার বিরুদ্ধাচরণ তাকে দোষারোপ করার নামান্তর হয় তবে আপনারা কিরূপে নিজের জন্যে নাবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-এর সুন্নাতের বিরুদ্ধাচরণকে বৈধ অনুসরণ করতে প্রবৃত্ত হলেন, যে ইমাম ভুলের উর্ধে (নিষ্পাপ) নন, যাকে দোষারোপ করা কুফরীও নয়? আপনাদের নিকটে যখন ইমামের বিরুদ্ধাচরণ তাকে দোষারোপ করা বুঝায়। তবে তো রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-এর বিরুদ্ধাচরণ করা তাঁকে দোষারোপ করার ব্যাপারে আরো স্পষ্ট বরং এটাই হচ্ছে প্রকৃত কুফৱী (আল্লাহ হিফাজত করুন)। একথা যে কেউ বললেই তাদের কোন উত্তর থাকবে না। শুধু একটি মাত্র বাক্য ছাড়া যা বহুকাল ধরে তাদের প্রায় লোকের কাছ থেকে শুনে আসছি। তা এই যে, আমরা কেবল এজন্যই হাদীছ পরিত্যাগ করেছি যে, (আমাদের) মাযহাবের ইমাম বিশ্বস্ত এবং তিনি হাদীছ সম্পর্কে আমাদের তুলনায় অধিক জ্ঞাত।
এ কথার আমাদের নিকট অনেকভাবে উত্তর রয়েছে যা উল্লেখ করতে গেলে ভূমিকাটি লম্বা হয়ে যাবে বিধায় একটি মাত্র উত্তর লিখখেই ক্ষান্ত হব, আল্লাহর ইচ্ছায় এটি হবে চূড়ান্ত মীমাংসা।
আমি বলিঃ শুধু আপনাদের মাযহাবের ইমামই হাদীছ সম্পর্কে আপনাদের চেয়ে বেশী ওয়াকিফহাল নন; বরং কয়েক দশক এমনকি শত শত ইমাম এমন রয়ে গেছেন যারা আপনাদের তুলনায় হাদীছ সম্পর্কে অধিক জ্ঞাত। তাই যখন বিশুদ্ধ হাদীছ আপনাদের মাযহাবের বিপরীতে চলে আসবে- যাকে এসব ইমামদের কেউ না কেউ গ্রহণ করেছেন, এই অবস্থায় এই হাদীছ গ্রহণ করা আপনাদের জন্য অপরিহার্য; কেননা আপনাদের উপরোক্ত কথা অর্থাৎ হাদীছের বিপরীতে ইমামের কথা গ্রহণ করার যুক্তি এখানে খাটবে না। কারণ আপনাদের প্রতিপক্ষ (তখন) অবশ্যই প্রতিবাদ করে বলবেঃ আমরাওতো এই হাদীছ কেবল ঐ ইমামের প্রতি আস্থা থাকার ফলেই গ্রহণ করেছি যে ইমাম এটি গ্রহণ করেছেন। অতএব এই ইমামের অনুসরণ ঐ ইমামের অনুসরণ অপেক্ষা উত্তম যিনি হাদীছের বিপরীত করেছেন। ইনশাআল্লাহ তা'আলা যুক্তি স্পষ্ট, কারো পক্ষে বুঝতে অসুবিধা হবে না।
আর এজন্যই আমি বলতে পারি যে, আমার এই কিতাব যেহেতু নাবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-এর ছলাত পদ্ধতির উপর সুসাব্যস্ত হাদীছ জমা করেছে, তাই এসবের উপর আমল পরিত্যাগ করার ব্যাপারে কারো কোন ‘উযর খাটবে না কারণ এতে এমন কোন হাদীছ নাই যা পরিত্যাগ করতে সব আলিমগণ এক মত হয়েছেন (আর এমন কাজ তারা করতেও পারেন না)। বস্তুত যে কোন বিষয়েই হাদীছ পাওয়া গেছে তাকে যে কোন একদল আলিম অবশ্যই গ্রহণ করেছেন, আর যিনি গ্ৰহণ করেননি তিনি হয় মাফ পেয়ে যাবেন আর না হয় একটি প্রতিদান পাবেন । কেননা হয়তোবা তিনি এ বিষয়ে কোন দলীল পাননি অথবা পেয়েছেন কিন্তু এমন পদ্ধতিতে পৌছেছে যার মাধ্যমে তার মতে প্রমাণ সাব্যস্ত হয় না অথবা অন্য যে কোন উযারের ভিত্তিতে যা আলিমগণের কাছে পরিচিত। তবে যার কাছে ইমামের (মৃত্যুর) পরবর্তীতে দলীল সাব্যস্ত হয়ে যায়; তার ব্যাপারে ঐ ইমামের অন্ধ অনুসরণের কোন উযর খাটবে না। বরং নির্ভুল দলীল মান্য করাই হবে ওয়াজিব। আর অত্র ভূমিকার মূল উদ্দেশ্য এটাই। আল্লাহ তা’আলা বলেনঃ
يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا اسْتَجِيبُوا لِلَّهِ وَلِلرَّسُولِ إِذَا دَعَاكُمْ لِمَا يُحْيِيكُمْ وَاعْلَمُوا أَنَّ اللَّهَ يَحُولُ بَيْنَ الْمَرْءِ وَقَلْبِهِ وَأَنَّهُ إِلَيْهِ تُحْشَرُونَ
অর্থঃ হে মুমিন সম্প্রদায়! তোমরা আল্লাহর ডাকে সাড়া দাও এবং রাসূলের ডাকে, কেননা তা (সাড়া দান) তোমাদেরকে জীবন দান করবে। আর জেনে রাখ আল্লাহ মানুষ ও তার অন্তরের মাঝে অন্তরায় হন। বস্তুত তোমরা তারই নিকট সমবেত হবে।[4]
আল্লাহ তা'আলা সত্য বলেন, তিনিই পথের দিশা দেন, আর তিনি উত্তম অভিভাবক এবং উত্তম সাহায্যকারী।
হে আল্লাহ! মুহাম্মদ, তাঁর পরিবার ও ছাহাবাদের উপর শান্তি বর্ষণ করুন। প্ৰশংসা সবই বিশ্বপ্রতিপালক আল্লাহর জন্যে।
মুহাম্মাদ নাছিরুদ্দিন আল-আলবানী
দামেস্ক ২০/০৫/১৩৮১ হিজরী
[2] দেখুন ইমাম মুযানীর ইতিপূর্বে অতিবাহিত বক্তব্য (৪৪ পৃঃ) ও হাফিয ইবনু রাজাব এর পূর্বোক্ত বক্তব্য (৩৫ পৃঃ)
[3] বুখারী ও মুসলিম, হাদীছটির কারণ এবং তার অবস্থান জানার জন্য দেখুন “সিলসিলা সহীহাহ” (১২১ পৃঃ)।
[4] সূরা আল-আনফাল ২৪ আয়াত।