ইসলামী জীবন-ধারা কুরআনের প্রতি আদব আবদুল হামীদ ফাইযী
(নামাযের বাইরে সাধারণ সময়ে) কুরআন খতমের পর দু‘আ করতে পারেন
সাহাবী আনাস (রাঃ) কুরআন খতম করার পর নিজ পরিবারের সকলকে ডেকে দু‘আ করতেন।[1]
তবে খতমের পর নির্দিষ্ট কোন দু‘আ নেই। অনেক কুরআনের শেষে ‘দু‘আয়ে খতমুল কুরআন’ শিরোনামে যে লম্বা দু‘আ লিখা থাকে, তা কারো মনগড়া দু‘আ। তদনুরূপ শায়খুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়ার প্রতি যে ‘দু‘আউ খাতমিল কুরআন’ সম্বদ্ধ করা হয়, তাও সঠিক নয়। বিধেয় নয় তারাবীহর নামাযে খাতমে কুরআনের দু‘আ করা।[2]
তিলাওয়াত শেষে কোন জিকিরও নেই। ক্বারীদের ‘স্বাদাক্বাল্লাহুল আযীম’ পড়া বিদআত। মহানবী (ﷺ) কত কুরআন পড়েছেন। কিন্তু একটি বারের জন্যও প্রমাণ নেই যে, তিনি পড়ার শেষে ঐ দু‘আ পড়েছেন। তিনি অপরের নিকট থেকে কুরআন শুনেছেনও। কিন্তু তখনও তিনি ঐ দু‘আ বলেননি এবং বলতে আদেশ করেননি। বরং বলেছেন, ‘‘বাস্ থামো।’’[3]
[1]. ইবনে আবী শাইবাহ, দারেমী, ত্বাবারানী, মাজমাউয যাওয়াইদ ৭/১৭২
[2]. আল-আজযাউল হাদীসিয়্যাহ, বাকর আবু যায়দ ২৯০পৃঃ
[3]. বুখারী তাওহীদ পাবঃ হা/ ৫০৫৫, মুসলিম আল-মাকতাবাতুশ-শামেলা হা/৮০০ দ্রঃ
[2]. আল-আজযাউল হাদীসিয়্যাহ, বাকর আবু যায়দ ২৯০পৃঃ
[3]. বুখারী তাওহীদ পাবঃ হা/ ৫০৫৫, মুসলিম আল-মাকতাবাতুশ-শামেলা হা/৮০০ দ্রঃ