মিতারান্দের শাসনামলে এক ফরাসী মন্ত্রীর আত্মহত্যার খবর বিশ্বব্যাপী সংবাদ মাধ্যমে প্রচারিত হয়েছে। আত্মহত্যার পিছনে যে কারণ ছিল তা এই যে, ফরাসী সংবাদপত্রগুলো তার নাম ও সুনামকে কলঙ্কিত করে মন্ত্রীর বিরুদ্ধে এক চরম যুদ্ধ চালিয়েছিল। কোন বিশ্বাস না পেয়ে বা কোন আশ্রয়স্থল না পেয়ে বা কোন সমর্থন না পেয়ে সে তার নিজের জীবনটাকেই ধ্বংস করে দিল। নিজের ধ্বংসের মাঝে আশ্রয়গ্রহণকারী এ হতভাগা লোকটি নিম্নোক্ত আয়াতসমূহে বর্ণিত স্বর্গীয় সংক্ষিপ্তসার অনুসারে পথপ্রদর্শিত (হেদায়েতপ্রাপ্ত) হয়নি।
“এবং তারা যে ষড়যন্ত্র করে তাতে মনে কষ্ট নিবেন না।” (১৬-সূরা আন নাহলঃ আয়াত-১২৭)
لَن يَضُرُّوكُمْ إِلَّا أَذًى
“সামান্য কষ্ট দেয়া ছাড়া তারা কখনই তোমাদের কোন ক্ষতি করতে পারবে না।”
وَاصْبِرْ عَلَىٰ مَا يَقُولُونَ وَاهْجُرْهُمْ هَجْرًا جَمِيلًا
“আর তারা যা বলে তাতে ধৈর্য ধরুন এবং তাদেরকে সুন্দরভাবে এড়িয়ে চলুন।”
তার আত্মহত্যার কারণ এই ছিল যে, সে (সঠিক) পথ হারিয়ে ফেলেছিল ও সত্যের পথ থেকে বহুদূরে ছিল।
مَن يُضْلِلِ اللَّهُ فَلَا هَادِيَ لَهُ
“যাকে আল্লাহ পথভ্রষ্ট করেন তার কোন পথপ্রদর্শক নেই।”
অনেকে পরামর্শ দেন যে, নিপীড়িত ও দুর্ভাগাদের প্রাকৃতিক ভ্রমণে বের হওয়া, গান শোনা অথবা দাবা-পাশা খেলা উচিত।
কিন্তু ইসলামের অনুসারীগণ আরো কার্যকর ও আরোগ্যকর পন্থার দাবি করেনঃ তাহলো আযান ও জামায়াতের মাঝে আল্লাহকে স্মরণ (জিকির) করার জন্য, তার নিকট আত্মসমর্পণ করার জন্য এবং তার স্বর্গীয় বিধানে সন্তুষ্ট হওয়ার জন্য মসজিদে বসা। আর এর গুরুত্ব আল্লাহর উপর সম্পূর্ণ তাওাক্কুল (নির্ভর) করার সমান।