ডা. হাস্সন শামসী পাশা ১৯৯৪ সনের কোন এক সংখ্যায় আহলান-সাহলান নামক পত্রিকায় “দুশ্চিন্তা দূর করার বিশটি উপায়” নামে একটি প্রবন্ধ লিখেছেন। নিম্নে তার সারমর্ম দেয়া হলো-
১. আপনার জীবনকাল (অর্থাৎ আয়ু কত বছর তা) নির্ধারিত করা আছে, কেননা সব কিছুই তকদীর (পূর্ব নির্ধারিত বিধান) অনুসারেই ঘটে। অতএব সে বিষয়ে (হায়াত নিয়ে) দুশ্চিন্তা করার কোন প্রয়োজন নেই।
২. আমাদের প্রত্যেকে কতটা পরিমাণ রিযিক গ্রহণ করব তা সিদ্ধান্ত একমাত্র আল্লাহর নিকটেই। অন্য কেউই সে রিযিকের মালিক নয় বা আপনার থেকে তা ছিনিয়ে নেয়ার ক্ষমতা অন্য কারো নেই।
৩. অতীত তার সকল দুঃখ-কষ্ট নিয়ে চলে গেছে। সমগ্র মানবজাতিও যদি একযোগে তাকে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করে, তবুও তা ফিরে আসতে পারে না ।
৪. ভবিষ্যৎ অদৃশ্য জগতের অন্তর্ভুক্ত এবং এখনও তা আসেনি। আপনার অনুমতি বা অনুভূতির প্রতি কোনরূপ শ্রদ্ধা প্রদর্শন না করেই এটি এর বিষয়াদি নিয়ে আসে। অতএব এটা সত্যি সত্যি আগমন করার আগেই এটাকে ডেকে আনবেন না।
৫. অন্যের উপকার করলে নিজের মনে শান্তি পাওয়া যায়। একটি ভালো কাজ বা কল্যাণমূলক কাজ দাতাকে গ্রহীতার তুলনায় অনেক বেশি দয়া (রহমত), পুরস্কার ও শান্তি ইত্যাদি বহুবিধ উপকার করে।
৬. মুমিনের একটি মহৎ গুণ হল যে, সে মিথ্যা সমালোচনার ধার ধারে না, কেউ সমালোচনা থেকে বাঁচতে পারে না। এমনকি সমগ্র বিশ্ব জগতের প্রতিপালক, নিখুঁত মহান আল্লাহও না। (মানুষ আল্লাহ তায়ালাকেও গালি দেয়, সুতরাং আপনি কেন মনে করেন যে, আপনাকে কেউ গালি দিবে না, কেউ আপনার সমালোচনা করবে না। বিশ্বের শ্রেষ্ঠ মানব নবীদেরকেও প্রত্যেক জাতি মিথ্যা বলেছে, তাদেরকে কষ্ট দিয়েছে; এমনভাবে সকল মহামানবরাও একই অবস্থার শিকার হয়েছে। এ বিষয়ে এ পুস্তকে পূর্বে বেশ খানিকটা আলোচনা করা হয়েছে। -অনুবাদক)