নানা জায়গায় ভ্রমণ করা ও বিভিন্ন স্থান পরিদর্শন করা মনে সুখ বয়ে আনে- একথা আমি এ পুস্তকের প্রথম দিকেও কোন এক অধ্যায়ে বলেছি। মহান আল্লাহ বলেছেন-
قُلِ انظُرُوا مَاذَا فِي السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضِ
“(হে মুহাম্মদ!) আপনি বলে দিন, “আসমানসমূহে ও পৃথিবীতে যা কিছু আছে তোমরা তা দেখ।” (১৯-সূরা ইউনুসঃ আয়াত-১০১)
قُلْ سِيرُوا فِي الْأَرْضِ فَانظُرُوا
(হে মুহাম্মদ!) আপনি বলে দিন, “তোমরা পৃথিবীতে ভ্রমণ কর ও দেখ।”
যে ব্যক্তি ইবনে বতুতার ভ্রমণ বৃত্তান্ত পড়বে সে আল্লাহর সৃষ্টি রহস্য জেনে বিস্ময়াভিভূত হয়ে যাবে যদিও উক্ত পুস্তকে কিছু বাড়াবাড়ি আছে। ভ্রমণ ও সৃষ্টির খোলা পুস্তক পাঠের মাধ্যমে ঈমানদারগণ রাজনৈতিক শিক্ষা লাভ করতে পারে। মহান আল্লাহ্ বলেন-
فَسِيحُوا فِي الْأَرْضِ
“অতএব তোমরা স্বাধীনভাবে পৃথিবীতে ভ্রমণ কর।” (৯-সূরা তাওবাঃ আয়াত-২)
حَتَّىٰ إِذَا بَلَغَ مَغْرِبَ الشَّمْسِ
“এমনকি যখন তিনি সূর্যাস্তগমনের স্থানে পৌছে গেলেন।” (১৮-সূরা আল কাহাফ: আয়াত ৮৬)
لَا أَبْرَحُ حَتَّىٰ أَبْلُغَ مَجْمَعَ الْبَحْرَيْنِ أَوْ أَمْضِيَ حُقُبًا
“যতক্ষণ পর্যন্ত না দু’সাগরের সঙ্গমস্থলে আমি পৌছব ততক্ষণ আমি (ভ্ৰমণ) ছাড়ব না অথবা (উদ্দিষ্ট স্থানে না পৌছতে পারলে) আমি যুগ যুগ ধরে চলতে থাকব।” (১৮-সূরা আল কাহাফঃ আয়াত-৬০)