কাতার সোজা করার ক্ষেত্রে বিশুদ্ধ কথা হচ্ছে পায়ের গোড়ালী সমূহ বরাবর করে নেয়া, পায়ের আঙ্গুল সমূহ বরাবর করা আবশ্যক নয়। কেননা শরীরের ভিত্তি থাকে পায়ের গোড়ালীর উপর। আর পায়ের সাইজ অনুযায়ী আঙ্গুলের বিভিন্নতা হয়ে থাকে। কোন পা দীর্ঘ থাকে কোনটা খাট। সুতরাং কাতার বরাবর ও সোজা করা গোড়ালী মিলানো ছাড়া অন্য কোন ভাবে সম্ভব নয়।
আর পায়ের গোড়ালী সমূহ পরস্পরে মিলিত করা নিঃসন্দেহে ছাহাবায়ে কেরাম (রাঃ) থেকে প্রমাণিত রয়েছে। তাঁরা কাতার বন্দী হওয়ার সময় গোড়ালী সমূহ একজন অপরজনের সাথে মিলিত করে দিতেন। অর্থাৎ- প্রকৃতভাবে কাতার সোজা ও বরাবর করার জন্য তাঁদের একজন পার্শ্ববর্তী মুছল্লীর গোড়ালীর সাথে গোড়ালী মিলিত করে দাঁড়াতেন। কিন্তু কাতার বন্দীর ক্ষেত্রে এটাই আসল উদ্দেশ্য নয়; বরং এ কাজ কাতার বরাবর সোজা হয়েছে কি না তা নিশ্চিত করার জন্য করতে হয়। একারণে কাতারে দাঁড়ানোর পর উচিৎ হচ্ছে প্রত্যেকে পার্শবর্তী মুছল্লীর পায়ের সাথে পা মিলিয়ে নিবে, যাতে নিশ্চিত হতে পারে যে, কাতার সোজা হয়েছে। পূর্ণ নামাযে এভাবে পরস্পরের পাগুলোকে মিলিয়ে রাখা আবশ্যক নয়।
অনেকে বাড়াবাড়ি করে পার্শ্ববর্তী মুছল্লীর পায়ের সাথে গোড়ালী মিলাতে গিয়ে নিজের দু’পায়ের মাঝে অতিরিক্ত ফাঁক সৃষ্টি করে ফেলে। এটা যেমন সুন্নাত বিরোধী হয় অনুরূপভাবে পরস্পরের কাঁধ থেকেও বহু দূরে চলে যায়। উদ্দেশ্য হচ্ছে গোড়ালী ও কাঁধ সমূহ বরাবর থাকা।