“যা তোমাদেরকে আমার নিকটবর্তী করে তা তোমাদের ধন-সম্পদ ও তোমাদের সন্তান-সন্ততি নয়; কিন্তু যে ব্যক্তি ঈমান আনে ও আমলে সালেহ করে তাদের জন্য তাদের আমলের বিনিময়ে রয়েছে বহু গুণ পুরস্কার এবং তারা (জান্নাতে বহুতল) ভবনে নিরাপদে থাকবে।” (৩৪-সূরা আস সাবা: আয়াত-৩৭)
ডেল কার্ণেগী বলেছেন- “পরিসংখ্যানে প্রমাণিত হয়েছে যে, আমেরিকাতে উদ্বিগ্নতা ও মানসিক চাপই এক নম্বর হত্যাকারী। গত বিশ্বযুদ্ধে আমাদের সৈন্যের এক মিলিয়নের এক-তৃতীয়াংশ নিহত হয়েছে। একই সময়ে হৃদ-রোগে মারা যায় দুই মিলিয়ন। দ্বিতীয় দলে দুশ্চিন্তা উদ্বিগ্নতা ও মানসিক চাপই এক মিলিয়ন লোকের রোগের মূল কারণ।”
এলেক্সিস কারলাইল বলতে চান- “যে সব কাজের লোক মানসিক চাপ দমন করতে জানে না তারা অকালে মারা যায়।”
যে যুক্তির কারণে কারলাইল একথা বলতে চান তা সঠিক এবং আমাদেরকে অবশ্যই স্মরণ করতে হবে।
“আল্লাহর অনুমতি ছাড়া ও নির্দিষ্ট সময় ছাড়া কোনো লোকেরই মৃত্যুবরণ করার সাধ্য নাই”। (৩-সূরা আলে ইমরান: আয়াত-১৪৫)
কৃঞ্চ আমেরিকানরা ও চীনারা খুব কমই হৃদ-রোগের শিকার হয়। তারা সৌম্যতার সাথে ও শান্ত ভাবের সাথে জীবন যাপন করে। পক্ষান্তরে, আপনি দেখতে পাবেন যে, যেসব চিকিৎসকেরা হৃদ-রোগে মারা যায় তাদের সংখ্যা হৃদরোগে মারা যাওয়া কৃষকের সংখ্যার তুলনায় বিশগুণ বেশি। চিকিৎসকেরা এক কঠিন ও চাপ যুক্ত জীবন যাপন করেন- যার কারণে তাদেরকে চড়া মূল্য দিতে হয়।