হাজী সাহেব হজের কার্যাদি সম্পন্ন করার পর অধিক পরিমাণে যিকর ও ইস্তিগফার করবেন। আল্লাহ তা‘আলা বলেন,
﴿ ثُمَّ أَفِيضُواْ مِنۡ حَيۡثُ أَفَاضَ ٱلنَّاسُ وَٱسۡتَغۡفِرُواْ ٱللَّهَۚ إِنَّ ٱللَّهَ غَفُورٞ رَّحِيمٞ ١٩٩ فَإِذَا قَضَيۡتُم مَّنَٰسِكَكُمۡ فَٱذۡكُرُواْ ٱللَّهَ كَذِكۡرِكُمۡ ءَابَآءَكُمۡ أَوۡ أَشَدَّ ذِكۡرٗاۗ فَمِنَ ٱلنَّاسِ مَن يَقُولُ رَبَّنَآ ءَاتِنَا فِي ٱلدُّنۡيَا وَمَا لَهُۥ فِي ٱلۡأٓخِرَةِ مِنۡ خَلَٰقٖ ٢٠٠ وَمِنۡهُم مَّن يَقُولُ رَبَّنَآ ءَاتِنَا فِي ٱلدُّنۡيَا حَسَنَةٗ وَفِي ٱلۡأٓخِرَةِ حَسَنَةٗ وَقِنَا عَذَابَ ٱلنَّارِ ٢٠١ أُوْلَٰٓئِكَ لَهُمۡ نَصِيبٞ مِّمَّا كَسَبُواْۚ وَٱللَّهُ سَرِيعُ ٱلۡحِسَابِ ٢٠٢ ﴾ [البقرة: ١٩٩، ٢٠٢]
‘অতঃপর তোমরা প্রত্যাবর্তন কর, যেখান থেকে মানুষেরা প্রত্যাবর্তন করে এবং আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাও। নিশ্চয় আল্লাহ ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু। তারপর যখন তোমরা তোমাদের হজের কাজসমূহ শেষ করবে, তখন আল্লাহকে স্মরণ কর, যেভাবে তোমরা স্মরণ করতে তোমাদের বাপ-দাদাদেরকে, এমনকি তার চেয়ে অধিক স্মরণ। আর মানুষের মধ্যে এমনও আছে যে বলে, হে আমাদের রব, আমাদেরকে দুনিয়াতেই দিয়ে দিন। বস্তুত আখিরাতে তার জন্য কোনো অংশ নেই। আর তাদের মধ্যে এমনও আছে, যারা বলে, হে আমাদের রব, আমাদেরকে দুনিয়াতে কল্যাণ দিন। আর আখিরাতেও কল্যাণ দিন এবং আমাদেরকে আগুনের আযাব থেকে রক্ষা করুন। তারা যা অর্জন করেছে তার হিস্যা তাদের রয়েছে। আর আল্লাহ হিসাব গ্রহণে দ্রুত’।[1]
স্বদেশে ফেরার সময় সফরের আদবসমূহ এবং দো‘আ আমলে নেবেন। সফরসঙ্গী ও পরিবার-পরিজনের সঙ্গে সদয় ও উন্নত আচরণ করবেন। যদি তাদের রীতি এমন হয়ে থাকে যে, সেখানে হাদিয়া নিয়ে যেতে হয়, তাহলে তাদের মনোতুষ্টির জন্য হাদিয়া নিয়ে যাবেন।
হাজী সাহেবদের জন্য মদীনা শরীফ যিয়ারত করা অপরিহার্য নয়। মদীনার যিয়ারত বরং একটি স্বতন্ত্র সুন্নত। হজের সঙ্গে এর কোনো সম্পৃক্ততা নেই। হজের আলোচনার সাথে এর আলোচনা হয়ে থাকে, কেননা অনেক মানুষ অনেক দূর-দুরান্ত থেকে আসেন। আলাদা আলাদাভাবে দুজায়গা সফরের লক্ষ্যে দুবার আসা কষ্টকর বিধায় এক সঙ্গেই তারা দুজায়গায় সফর করেন।
হাজী সাহেবদের জন্য সমীচীন হল, দৃঢ ঈমান, নতুন প্রত্যয়-উপলব্ধি এবং অনেক বেশি আনুগত্য, ইবাদত ও উন্নত চরিত্র নিয়ে ফিরে আসা। কারণ, হজের মধ্য দিয়ে যেন তার নব জন্ম ঘটে। (হে আল্লাহ তুমি আমাদেরকে কবুল কর। নিশ্চয়ই তুমি সর্বশ্রোতা, সর্বজ্ঞ, আমাদের তওবা কবুল কর। নিশ্চয়ই তুমি তওবা কবুলকারী, দয়ালু।)