আল-ফিকহুল আকবর মহান আল্লাহর বিশেষণ, তাকদীর ইত্যাদি ড. খোন্দকার আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর (রহ.)
ইমাম শাফিয়ীর অন্য ছাত্র ইউনুস ইবন আব্দুল আ’লা বলেন

ইমাম শাফিয়ীর অন্য ছাত্র ইউনুস ইবন আব্দুল আ’লা বলেন:


سمعت أبا عبد الله الشافعي يقول- وقد سئل عن صفات الله تعالى وما يؤمن به - فقال: لله أسماء وصفات جاء بها كتابه، وأخبر بها نبيه ﷺ أمته، لا يسع أحدا قامت عليه الحجة ردها، لان القرآن نزل بها، وصح عن رسول الله ﷺ القول بها، فإن خالف ذلك بعد ثبوت الحجة عليه، فهو كافر، فأما قبل ثبوت الحجة، فمعذور بالجهل، لأن علم ذلك لا يدرك بالعقل، ولا بالروية والفكر، ولا نكفر بالجهل بها أحدا إلا بعد انتهاء الخبر إليه بها، ونثبت هذه الصفات، وننفي عنها التشبيه، كما نفاه عن نفسه، فقال: (ليس كمثله شئ وهو السميع البصير).


‘‘আবূ আব্দুল্লাহ শাফিয়ীকে মহান আল্লাহর বিশেষণ সম্পর্কে প্রশ্ন করা হলো। তখন তিনি বললেন: আল্লাহর নামসমূহ এবং বিশেষণসমূহ রয়েছে। কুরআনে সেগুলির উল্লেখ রয়েছে এবং রাসূলুল্লাহ (ﷺ) উম্মাতকে তা জানিয়েছেন। যার কাছে তা প্রমাণিত হয়েছে তার জন্য তা অস্বীকার করার সুযোগ নেই। কারণ কুরআনে তা অবতীর্ণ হয়েছে এবং রাসূলুল্লাহ (ﷺ) থেকে সহীহ সনদে বর্ণিত হয়েছে যে, তিনি এগুলি বলেছেন। যদি কেউ তার কাছে বিষয়গুলো প্রমাণিত হওয়ার পরেও বিরোধিতা করে তবে সে ব্যক্তি কাফির। তবে যদি কেউ তা তার নিকট প্রমাণিত হওয়ার পূর্বে বিরোধিতা করে তবে সে ব্যক্তি অজ্ঞতার কারণে ওজর-অব্যাহতির যোগ্য (excusable, forgivable)। কারণ এ বিষয়ক জ্ঞান মানবীয় বুদ্ধি-বিবেক, যুক্তি, গবেষণা ও চিন্তাভাবনার মাধ্যমে অর্জন করা যায় না। কাজেই কারো নিকট এ বিষয়ক কুরআন-হাদীসের সংবাদ পৌঁছানোর আগে এ বিষয়ক অজ্ঞতার কারণে আমরা কাউকে কাফির বলে গণ্য করি না। আমরা এ সকল বিশেষণ প্রমাণ ও বিশ্বাস করি এবং এগুলি থেকে তুলনা বাতিল ও অস্বীকার করি। কারণ মহান আল্লাহ নিজেই নিজের তুলনীয় হওয়ার বিষয়টি বাতিল করে বলেছেন[1]: ‘‘কোনো কিছুই তাঁর সাথে তুলনীয় নয়; তিনি সর্বশ্রোতা সর্বদ্রষ্টা’’।[2]

[1] সূরা (৪২) শূরা: ১১ আয়াত।

[2] যাহাবী, সিয়ারু আলামিন নুবালা, ১০/৭৯-৮০; ইবনু কুদামা, যাম্মুত তাবীল, পৃষ্ঠা ২৩।