নিরেট ধর্মীয় জ্ঞান দুনিয়া কামানো বা অন্য কোন উদ্দেশ্যে শিক্ষা করাও আরেকটি বড় অপরাধ। তাই তো উক্ত ব্যক্তি কিয়ামতের দিন জান্নাতের সুগন্ধও পাবে না। বরং সে হবে তখন জাহান্নামী।
আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন: রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন:
مَنْ تَعَلَّمَ عِلْمًا مِمَّا يُبْتَغَى بِهِ وَجْهُ اللهِ عَزَّ وَجَلَّ ؛ لَا يَتَعَلَّمُهُ إِلاَّ لِيُصِيْبَ بِهِ عَرَضًا مِنَ الدُّنْيَا لَمْ يَجِدْ عَرَفَ الْـجَنَّةِ يَوْمَ الْقِيَامَةِ.
‘‘যে ব্যক্তি দুনিয়ার কোন সম্পদ পাওয়ার জন্য এমন কোন জ্ঞান শিখে যা একমাত্র আল্লাহ্ তা‘আলার সন্তুষ্টির জন্যই শিখতে হয় এমন ব্যক্তি কিয়ামতের দিন জান্নাতের সুগন্ধও পাবে না’’। (আবূ দাউদ ৩৬৬৪; ইব্নু মাজাহ্ ২৫২)
আব্দুল্লাহ্ বিন্ ’উমর, আবূ হুরাইরাহ্ ও হুযাইফাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন: নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন:
مَنْ طَلَبَ الْعِلْمَ لِيُمَارِيَ بِهِ السُّفَهَاءَ، أَوْ لِيُبَاهِيَ بِهِ الْعُلَمَاءَ، أَوْ لِيَصْرِفَ وُجُوْهَ النَّاسِ إِلَيْهِ فَهُوَ فِيْ النَّارِ.
‘‘যে ব্যক্তি ধর্মীয় জ্ঞান শিক্ষা করলো এ জন্য যে, সে এরই মাধ্যমে বোকা বা মূর্খদের সাথে ঝগড়া করবে এবং আলিমদের সাথে বড়াই করবে অথবা মানুষকে তার দিকে আকৃষ্ট করবে তা হলে সে জাহান্নামী’’। (ইব্নু মাজাহ্ ২৫৩)
জাবির বিন্ আব্দুল্লাহ্ (রা.) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন: নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন:
لَا تَعَلَّمُوْا الْعِلْمَ لِتُبَاهُوْا بِهِ الْعُلَمَاءَ، وَلَا لِتُمَارُوْا بِهِ السُّفَهَاءَ، وَلَا تَخَيَّرُوْا بِهِ الْمَجَالِسَ، فَمَنْ فَعَلَ ذَلِكَ فَالنَّارُ النَّارُ.
‘‘তোমরা ধর্মীয় জ্ঞান শিক্ষা করো না আলিমদের সাথে বড়াই এবং বেকুব বা মূর্খদের সাথে ঝগড়া অথবা কোন মজলিসের মধ্যমণি হওয়ার জন্য। কেউ এমন করলে জাহান্নামই হবে তার ঠিকানা’’। (ইব্নু মাজাহ্ ২৫৪)