উত্তরঃ প্রথমতঃ নামাযের সময় শুরু হওয়ার পরে কেউ ঋতুবতী হলে পবিত্র হওয়ার পর ঐ নামাযের ক্বাযা আদায় করা তার উপর ওয়াজিব- যদি ঋতুস্রাব আসার আগে সে ঐ নামায আদায় না করে থাকে। এ মর্মে রাসূল (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, “যে ব্যক্তি নামাযের এক রাকআত পেল, সে পুরো নামাযই পেল।”[1] অতএব, এক রাক‘আত নামায পড়ার মত সময় যদি সে পায় অতঃপর সেই নামায পড়ার আগে তার ঋতুস্রাব আসে, তাহলে পবিত্র হওয়ার পরে ঐ নামাযের ক্বাযা আদায় করা তার জন্য জরূরী।
দ্বিতীয়তঃ যদি সে নামাযের ওয়াক্ত শেষ হওয়ার পূর্বে পবিত্র হয়ে যায়, তাহলে তাকে ঐ নামাযের ক্বাযা আদায় করতে হবে। অতএব, যদি সে সূর্যোদয়ের আগে এক রাকআত নামায পড়ার মত সময় বাকী থাকতে পবিত্র হয়, তাহলে ফজরের নামাযের ক্বাযা আদায় করা তার উপর আবশ্যক হবে। যদি সে সূর্যাস্তের আগে এক রাকআত নামায পড়ার মত সময় বাকী থাকতে পবিত্র হয়, তাহলে তার উপর আছরের নামায পড়া আবশ্যক হবে। অনুরূপভাবে যদি সে মধ্যরাতের আগে এক রাকআত নামায পড়ার মত সময় বাকী থাকতে পবিত্র হয, তাহলে তার উপর এশার নামাযের ক্বাযা আদায় করা আবশ্যক হবে। কিন্তু যদি সে মধ্যরাতের পরে পবিত্র হয়, তাহলে তাকে এশার নামায আদায় করতে হবে না। তবে ফজরের নামাযের সময় হলে তা তাকে আদায় করতে হবে। মহান আল্লাহ বলেন, “অতঃপর যখন তোমরা নিরাপদ হও, তখন তোমরা নামায প্রতিষ্ঠিত কর। নিশ্চয়ই নামায বিশ্বাসীগণের উপর নির্দিষ্ট সময়ের জন্য নির্ধারিত” (আন-নিসা ১০৩)। অর্থাৎ এমন কিছু নির্দিষ্ট সময়ে তা ফরয করা হয়েছে- যা থেকে নামাযকে অন্য সময়ে বিলম্বিত করা এবং উক্ত সময় শুরু হওয়ার আগে তা আদায় করা কারো জন্য জায়েয নয়।