ইমাম আবু হানীফা (রাহেমাহুল্লাহ) বলেনঃ যেহেতু হাদীসে কোন নির্দিষ্ট শ্রেণী উল্লেখ নেই সেজন্যে অমুসলিম যাদুকরকেও হত্যা করা হবে। এই জন্য যে, যাদু এক এমন অপরাধ যা মুসলিমকে হত্যা করে। অনুরূপ এক অপরাধও অমুসলিমকে হত্যা করা জরুরী করে দেয়। (আল-মুগনীঃ ১০/১১৫)
ইমাম মালেক (রাহেমাহুল্লাহ) বলেন যে, আহলে কিতাবের যাদুকরকে হত্যা করা যাবে না। তবে যদি তার যাদু দ্বারা কেউ হত্যা হয় তবে তাকে হত্যা করা হবে। আরও বলেনঃ তার যদি দ্বারা যদি কোন মুসলিম ক্ষতিগ্রস্ত হয় যার ব্যাপারে ওয়াদা ভঙ্গের অভিযোগ নেই তাকেও হত্যা করা বৈধ।
নবী করীম (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) লাবীদ বিন আসেমকে হত্যা এজন্য করেননি যে, তিনি নিজের জন্যে কারো প্রতিশোধ নিতেন না। লাবীদ রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-কে যাদু করেছিল। দ্বিতীয়তঃ এজন্যে হত্যা করেননি যে, কোথাও আবার ইয়াহুদী ও মুসলিমদের মাঝে রক্তাক্তরূপ ধারণ না করে। (ফতহুল বারীঃ ১০/২৩৬)
ইমাম ইবনে কুদামা (রাহেমাহুল্লাহ) বলেনঃ যাদুকর সে ইয়াহুদী অথবা খ্রিস্টান যেই হোক না কেন কেবলমাত্র যাদুর জন্যে তাকে হত্যা করা হবে
না। যতক্ষণ না সে তার যাদুর মাধ্যমে অন্যকে হত্যা করে। এর প্রমাণ হল যে, নবী করীম (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) লাবীদকে হত্যা করেন নি অথচ শিরক যাদু থেকেও বড় পাপ।
তিনি আরো বলেনঃ যত দলীল এসব ব্যাপারে এসেছে সব মুসলিম যাদুকরের ব্যাপারে। কেননা সে তার যাদুর কারণে কাফের হয়ে যায়। (ফতহুল বারীঃ ১০/২৩৬)