উত্তর: উপায়-উপকরণ গ্রহণ করা কয়েক প্রকার হতে পারে:
১) যা মূলতই তাওহীদের পরিপন্থী। তা এই যে, কোনো ব্যক্তি আল্লাহকে বাদ দিয়ে এমন জিনিসের উপর পরিপূর্ণভাবে ভরসা করল, বাস্তবে যার কোনো প্রভাবই নেই। মুসিবতে পড়ে কবর পূজারীরা এমনটি করে থাকে। এটি বড় শির্ক। যারা এ ধরণের শির্কে লিপ্ত হবে তাদের ব্যাপারে আল্লাহ তা‘আলা বলেন,
﴿إِنَّهُۥ مَن يُشۡرِكۡ بِٱللَّهِ فَقَدۡ حَرَّمَ ٱللَّهُ عَلَيۡهِ ٱلۡجَنَّةَ وَمَأۡوَىٰهُ ٱلنَّارُۖ وَمَا لِلظَّٰلِمِينَ مِنۡ أَنصَارٖ﴾ [المائدة: ٧٢]
“যে ব্যক্তি আল্লাহর সাথে শির্ক করবে, আল্লাহ তার জন্য জান্নাত হারাম করে দিয়েছেন। তার ঠিকানা জাহান্নাম। আর যালেমদের জন্য কোনো সাহায্যকারী থাকবে না।” [সূরা আল-মায়েদা, আয়াত: ৭২]
২) শরী‘আত সম্মত উপায়-উপকরণের ওপর ভরসা করা এবং আল্লাহ তা‘আলাই যে এগুলোর সৃষ্টিকারী, তা একেবারে ভুলে যাওয়া। এটাও এক প্রকার শির্ক। তাবে এটা মানুষকে ইসলাম থেকে বের করে দেয় না।
(৩) মানুষ উপায়-উপকরণ অবলম্বন করার সাথে সাথে আল্লাহর ওপর পরিপূর্ণভাবে ভরসা করবে এবং বিশ্বাস করবে যে, এ উপকরণ আল্লাহর পক্ষ থেকেই। তিনি ইচ্ছা করলে এটি ছিন্ন করে দিতে পারেন এবং ইচ্ছা করলে অবশিষ্ট রাখতে পারেন। এ ধরণের ব্যবস্থা গ্রহণ করা কোনভাবেই তাওহীদের পরিপন্থী নয়।
মোটকথা এ যে, শরী‘আত সম্মত উপায়-উপকরণ বর্তমান থাকা সত্বেও এগুলোর উপর পরিপূর্ণরূপে ভরসা করা ঠিক নয়। বরং সম্পূর্ণরূপে ভরসা একমাত্র আল্লাহর ওপরই করতে হবে। সুতরাং কোনো চাকরীজীবি যদি তার বেতনের ওপর সম্পূর্ণরূপে নির্ভর করে এবং সকল বস্তুর সৃষ্টিকারী আল্লাহর ওপর ভরসা করতে ভুলে যায়, তাহলে সে এক প্রকার শির্কে লিপ্ত হবে। আর যে কর্মচারী এ বিশ্বাস রাখে যে, বেতন কেবল একটি মাধ্যম মাত্র তাহলে এটা আল্লাহর ওপর ভরসার বিরোধী হবে না। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ও আল্লাহর ওপর ভরসা করার সাথে সাথে আসবাব গ্রহণ করতেন