হাদীসের নামে জালিয়াতি আহল বাইত, সাহাবী-তাবিয়ী ও উম্মাত ড. খোন্দকার আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর (রহ.)
১৩. আমার আহলু বাইত নক্ষত্রতুল্য
উপরের হাদীসের ভাষাতেই আরেকটি হাদীস:
أَهْلُ بَيْتِيْ كَالنًُّجُوْمِ بِأَيِّهِمْ اقْتَدَيْتُمْ اهْتَدَيْتُمْ
‘‘আমার আহলু বাইত অর্থাৎ বাড়ির মানুষেরা বা বংশধরেরা নক্ষত্রতুল্য, তাঁদের যে কাউকে অনুসরণ করলেই তোমরা সুপথপ্রাপ্ত হবে।’’
নুবাইত ইবনু শারীত (রা) একজন সাহাবী ছিলেন। একাধিক তাবিয়ী তাঁর থেকে হাদীস শিক্ষা ও বর্ণনা করেছেন। তাঁরই এক অধস্তন পুরুষ আহমাদ ইবনু ইসহাক ইবনু ইবরাহীম ইবনু নুবাইত তৃতীয়-চতুর্থ হিজরী শতকে দাবী করেন যে, নুবাইতের লিখিত একটি পান্ডুলিপি তার নিকট আছে। তিনি দাবী করেন, তিনি তার পিতা-পিতামহের মাধ্যমে এ পান্ডুলিপিটি পেয়েছেন। এতে লিখিত হাদীসগুলোর একটি এ হাদীস। মুহাদ্দিসগণ একমত যে, এ লোকটি একজন জঘন্য মিথ্যাবাদী ছিলেন। তিনি নিজে জালিয়াতি করে এ পান্ডুলিপিটি লিখে তার ঊর্ধ্বতন দাদার নামে চালান। এ হাদীসটি এবং পান্ডুলিপিটির সকল হাদীস জাল।[1]
[1] যাহাবী, মীযানুল ই’তিদাল ১/২১৪; ইবনু হাজার, লিসানুল মীযান ১/১৩৬; সুয়ূতী, যাইলুল লাআলী,পৃ. ২০১; ইবনু আর্রাক, তানযীহ ১/৪১৯; তাহির পাটনী, তাযকিরা, পৃ. ৯৮; শাওকানী, আল-ফাওয়াইদ ২/৪৮৯।