আল্লাহ বলেন,
﴿يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا لا تَأْكُلُوا أَمْوَالَكُمْ بَيْنَكُمْ بِالْبَاطِلِ إِلَّا أَنْ تَكُونَ تِجَارَةً عَنْ تَرَاضٍ مِنْكُمْ﴾
অর্থাৎ, হে ঈমানদারগণ! তোমরা একে অন্যের ধন-সম্পত্তি অন্যায়ভাবে ভক্ষণ করো না; তবে তোমাদের পরস্পরের সম্মতির ভিত্তিতে ব্যবসা করে খেতে পার।[1]
উক্ত আয়াতের ভিত্তিতে ব্যাংকের সূদকে অনেকে হালাল বলে প্রতিপাদিত করতে অপচেষ্টা করেছেন। কারণ ব্যাংকিং লেনদেনের ক্ষেত্রেও উভয় পক্ষের সম্মতি থাকে, তাতে কেউ কাউকে শোষণও করে না এবং কেউ কারো উপায়হীন অবস্থাকে তার লাভের সুবর্ণ সুযোগরূপে ব্যবহারও করে না।
এটা একটি সন্দেহ ও ভ্রম ধারণা মাত্র; যাতে ব্যাংকের সূদ হালালকারীদল জড়িত হয়ে পড়েছেন। নচেৎ প্রত্যেক মানুষই জানে যে, সাধারণ সম্মতি কোনও (হারাম) জিনিসকে হালাল করে দেয় না; বরং সেই সম্মতিই হালাল করতে পারে, যে সম্মতির সাথে ইলাহী নির্দেশ বা শরীয়তের কোনও নির্দেশ তার পরিপন্থী না হয়। যেমন একটি যুবক ও একটি যুবতী যদি যৌনক্রিয়ায় সম্মতি প্রকাশ করে এবং কেউ কাউকে সে কাজে বাধ্য না করে, তাহলে উভয়ের সম্মতির দরুন কি উভয়ের যৌনক্রিয়া (ব্যভিচার) বৈধ হয়ে যাবে? একটি সামান্য জ্ঞানের মানুষও অবশ্যই বলবে যে, উভয়ে রাজি হয়ে গেলেই ব্যভিচার বৈধ ও জায়েয হতে পারে না। অনুরূপভাবে যদি ব্যাংক ও আমানতকারী (টাকা জমাকর্তা) সূদ নেওয়া-দেওয়ার উপর রাজি ও সম্মত হয়ে যায়, তবুও উভয় পক্ষের উক্ত সম্মতিক্রমে সূদ হালাল হতে পারে না; বরং ব্যাংক যদি জমাকর্তাকে সূদ নিতে বাধ্য করে, তাহলেও সূদ হারামই থাকবে; হালাল হয়ে যাবে না। কারণ সম্মতি ও খুশীর সাথে নেওয়া হোক অথবা চাপে পড়ে বাধ্য হয়ে নেওয়া হোক---উভয় অবস্থাতেই আল্লাহ তাআলা সূদকে সম্পূর্ণরূপে হারাম ঘোষণা করেছেন।