কুরআন মাজীদের উপর্যুক্ত আয়াতে বা কোন হাদীসে সেই সফরের কোন নির্দিষ্ট পরিমাপ বা দূরত্ব উল্লেখ হয়নি, যতটা দূরত্ব যাওয়ার পর নামায কসর করে পড়া বিধেয়। এই জন্য সঠিক এই যে, পরিভাষায় বা প্রচলিত অর্থে যাকে সফর বলা হয়, সেই সফরে নামায কসর করা চলবে। (আলমুমতে’, শারহে ফিক্হ, ইবনে উষাইমীন ৪/৪৯৭-৪৯৮)
সাহাবাদের মধ্যে এ ব্যাপারে বিভিন্ন মত পরিলক্ষিত হয়। হযরত ইবনে আব্বাস ও ইবনে উমার (রাঃ) ৪৮ মাইল দূরে গিয়ে কসর করতেন এবং রোযা রাখতেন না। (বুখারী)
প্রকাশ থাকে যে, এই সফর পায়ে হেঁটে হোক অথবা উটের পিঠে, সাইকেলে হোক বা বাসে-ট্রেনে, পানি-জাহাজে হোক অথবা এরোপ্লেনে, কষ্টের হোক অথবা আরামের, বৈধ কোন কাজের জন্য হলে তাতে কসর বিধেয়। (মাজাল্লাতুল বুহূসিল ইসলামিয়্যাহ্ ২০/১৫৭)
দূরবর্তী সফর থেকে যদি একদিনের ভিতরেই ফিরে আসে অথবা নিকটবর্তী সফরে ২/৩ দিন অবস্থান করে তবুও তাতে কসর-জমা চলবে। (আলমুমতে’, শারহে ফিক্হ, ইবনে উষাইমীন ৪/৪৯৯)