আযান ও ইকামতের মাঝে কতটা বিরতি থাকবে সে ব্যাপারে হাদীস শরীফে কোন স্পষ্ট ইঙ্গিত ও উল্লেখ পাওয়া যায় না। তবে আযান হয় জামাআত ডাকার জন্য। আর এটাই স্বাভাবিক যে, আযানের পর অনেকে ওযু করবে। সুতরাং ওযু করার মত সময় দিতে হবে। তাছাড়া ফরয নামাযের পূর্বে যে সুন্নাতে রাতেবাহ্ বা মুআক্কাদাহ আছে তাও পড়ার জন্য সময় দিতে হবে। মহানবী (ﷺ) বলেন, “প্রত্যেক আযান ও ইকামতের মাঝে নামায আছে।” এইরুপ তিনবার বলার পর শেষে বললেন, “যে চাইবে তার জন্য।” (বুখারী, মুসলিম, মিশকাত ৬৬২নং)
মাগরেবের আযানের পরেও সত্বর জামাআত শুরু করা উচিৎ নয়। যদিও সময় সংকীর্ণ তবুও জামাআত হওয়ার পূর্বে নামায আছে। সুতরাং যার সেই নামায পড়ার ইচ্ছা তাকে সেই নামায পড়তে সময় দেওয়া উচিৎ।
আনাস (রাঃ) বলেন, আমরা মদ্বীনায় ছিলাম। মুআযযিন যখন মাগরেবের আযান দিত, তখন লোকেরা প্রতিযোগিতার সাথে মসজিদের খাম্বাগুলোর পশ্চাতে ২ রাকআত নামায পড়তে লেগে যেত। এমনকি যদি কোন অজানা লোক এসে মসজিদে প্রবেশ করত, তাহলে এত লোকের নামায পড়া দেখে সে মনে করত, হয়তো মাগরেবের জামাআত হয়ে গেছে। (এবং ওরা পরের সুন্নত পড়ছে।) (মুসলিম, মিশকাত ১১৮০ নং)