অবশ্যই তারা গোনাহগার ও জালেম। প্রথমতঃ সে মহানবী (সঃ) এর আদেশের খেলাপ করে। তিনি বলেছেন, “মজুরকে তাঁর ঘাম শুকাবার পূর্বে তোমরা তাঁর মজুরি দিয়ে দাও।” (সহিহুল জামে ১০৫৫ নং )
দ্বিতীয়তঃ সে সেই ব্যক্তির খাদ্য আটকে রাখে, যার খাবারের দায়িত্ব তাঁর ঘাড়ে আছে এবং সেই বেতনে আরো অনেক মানুষকে খোরপোশ আছে। আর আল্লাহর রাসুল (সঃ) বলেছেন, “মানুষের পাপী হওয়ার জন্য এতটুকুই যথেষ্ট যে, সে যার আহারের দায়িত্বশীল, তাকে তা ( না দিয়ে) আটক রাখে।” (মুসলিম ৯৯৬ নং)
তৃতীয়তঃ বেতন না পেয়ে মনের কষ্টে কর্মচারী বদ দুয়া করতে পারে। আর সে যদি অত্যাচারিত হয়, তাহলে সে বদ দুয়া সাথে সাথে মালিককে লাগে। আল্লাহর রাসুল (সঃ) বলেন, “তিনটি দুয়া এমন আছে, যার কবুল হওয়ার ব্যাপারে কোন প্রকার সন্দেহ নেই। অত্যাচারিতের দুয়া, মুসাফিরের দুয়া এবং ছেলের জন্য তাঁর বাপ মা এর দুয়া বা বদ দুয়া।” (তিরমিজি ৩৪৪৮, ইবনে মাজাহ ৩৮৬২, সিলসিলাহ সহিহাহ ৫৯৬ নং)
তিনি মুয়াজ (আঃ) কে ইয়ামান প্রেরণ কালে বলেছিলেন, “তুমি মজলুম (অত্যাচারিতের) (বদ) দুআ থেকে সাবধান থেকো। কারণ, অত্যাচারিতের দুয়া ও আল্লাহর মাঝে কোন অন্তরাল থাকে না।” (অর্থাৎ স্বত্বর কবুল হয়ে যায়।) ( বুখারি ১৪৯৬, মুসলিম ১৯ নং, আবু দাউদ, নাসাই, তিরমিজি)
সুতরাং মালিকের উচিৎ, সে বিষয়ে বিশেষ সতর্কতা রাখা। সে যদি সরকারী চাকুরীজীবী হয়, তাহলে ভেবে দেখা উচিৎ, তাঁর বেতন তিন চার মাস আটকে রাখলে তাঁর কি অবস্থা হবে? তেমনি তাঁর কর্মচারীও। (ইবনে জিবরিন )