নারী যদি সূর্যাস্তের পূর্বে ঋতু থেকে পবিত্র হয়, তার ওপর যোহর ও আসর সালাত পড়া জরুরি, আর যে সুবহে সাদিকের পূর্বে পবিত্র হবে তার ওপর মাগরিব ও এশার সালাত পড়া জরুরি। কারণ, অপারগতার সময় পরবর্তী সালাতের সময়কে পূর্ববর্তী সালাতের সময় গণ্য করা হয়। অর্থাৎ আসরের সময়কে যোহরের সময় ও এশার সময়কে মাগরিবের সময় গণ্য করা হয়।
শাইখুল ইসলাম ইবন তাইমিয়্যাহ রহ. বলেন: “এ জন্যই জমহুর আলেম যেমন মালিক,শাফে‘ঈ শাফে‘ঈ ও আহমদ রহ. বলেন, ঋতুমতী নারী যদি দিনের শেষে পবিত্র হয় তখন যোহর ও আসর উভয় সালাত পড়বে, আর যদি রাতের শেষে পবিত্র তাহলে হয় মাগরিব ও এশা উভয় সালাত পড়বে। আব্দুর রহমান ইবন ‘আউফ, আবু হুরায়রা ও ইবন আব্বাস রাদিয়াল্লাহু ‘আনহুম থেকে এরূপ বর্ণিত। কারণ, অপারগতার সময় আসর যোহরের ওয়াক্তকে এবং এশা মাগরিবের ওয়াক্তকে শামিল করে। অতএব, যদি দিনের শেষে সূর্যাস্তের পূর্বে পাক হয় তাহলে যোহরের সময় বাকি আছে, সুতরাং আসরের পূর্বে তা পড়ে নিবে। আর যদি রাতের শেষে পাক হয়, তাহলে মাগরিবের সময় বাকি আছে, সুতরাং এশার পূর্বে তা পড়ে নিবে। কারণ, এটা অপারগতার মুহূর্ত”।[1]
আর যদি নারীর সালাতের ওয়াক্ত শুরু হয়েছে কিন্তু এখনো সে সালাত আদায় করে নি এমতাবস্থায় যদি তার ঋতু বা নিফাস আরম্ভ হয় তাহলে বিশুদ্ধ মতে উক্ত সালাত তার কাযা করতে হবে না।
শাইখুল ইসলাম ইবন তাইমিয়্যাহ রহ. বলেন: “আবু হানিফা ও মালিকের মাযহাব হচ্ছে এ জাতীয় নারীর তাদের সালাত কাযা করতে হবে না, দলীলের বিবেচনায় এটিই মজবুত। কারণ, কাযা ওয়াজিব হয় নতুনভাবে ওয়াজিব হওয়ার কারণ পাওয়া গেলে, এখানে সে কারণ নেই। দ্বিতীয়ত ঋতুমতী যদিও কিছু সময় বিলম্ব করেছে তবে সেটা ছিল তার বৈধ সময়ের মধ্যে তাই সে সীমালঙ্ঘনকারী নয়। অনুরূপ ঘুমন্ত ও বিস্মৃত ব্যক্তি সীমালঙ্ঘনকারী নয়, তবে তাদের সালাত কাযা হিসেবে নয় আদায় হিসেবে ধর্তব্য হবে, কারণ তারা যখন জাগ্রত হয় ও যখন তাদের স্মরণ হয় তখন তাদের সালাতের ওয়াক্ত হয়”।[2] সমাপ্ত।
[2] মাজমুউল ফতোয়া: (২৩/৩৩৫)