বাইবেল জানাচ্ছে যে, নবীরা বিশ্বাসী ও সৎ মানুষদের জন্য মদের প্রাচুর্যের দোয়া করেছেন। আর ঈশ্বরও বারবার বলেছেন যে, তাঁর বিধান মত চললে তিনি বিশ্বাসীদেরকে মদের প্রাচুর্য প্রদান করবেন।
বাইবেলের প্রাণপুরুষ ইসরাইল (যাকোব/ ইয়াকুব আ) মৃত্যুর পূর্বে তাঁর সকল ছেলেকে দোআ করেন। তিনি তাঁর প্রিয়তম পুত্র এহূদা (যিহূদা)-কে সর্বোচ্চ নেয়ামতের ‘দোআ’ করেন। তাঁর এ দোআর মূল বিষয় এহূদার মদের প্রাচুর্য। এহূদা মদ খাবেন, মদ খেয়ে মাতাল হয়ে তার দু’চোখ লাল হবে। উপরন্তু তিনি মদ দিয়ে তাঁর কাপড় কাচবেন: ‘‘এহূদা আংগুর গাছে তার গাধা বাঁধবে, আর আংগুরের সেরা ডালে বাঁধবে গাধার বাচ্চাটা। মদে সে তার কাপড় কাচবে (he washed his garments in wine)... তার চোখের রং মদের সাথে (মদ পানের কারণে) লাল হবে (His eyes shall be red with wine)।’’ (আদিপুস্তক/ পয়দায়েশ ৪৯/১০-১২)
উল্লেখ্য, শেষ বাক্যটার অনুবাদ কেরি বাইবেলে: ‘‘তাহার চক্ষু দ্রাক্ষারসে রক্তবর্ণ।’’ অর্থাৎ মদের প্রভাবে তার চোখ রক্তবর্ণ হবে। কিন্তু বা.-২০০০ ও কি. মো.-০৬: ‘‘তার চোখের রং আংগুর রসের রংয়ের চেয়েও গাঢ় হবে।’’ কি. মো.-১৩: ‘‘তার চোখ আঙ্গুর-রসের চেয়ে লাল।’’
ইংরেজির সাথে মেলালে এ অর্থকে বিকৃত বলতে হয়। এরপরও এখানে মাতলামির অর্থ প্রকাশ পায়; কারণ মাতাল না হলে কারো চোখ এরূপ লাল হয় না।
বাইবেলের বর্ণনায় মূসা (আ.)-ও তাঁর শেষ দোআয় ইসরাইল জাতির জন্য মদের প্রাচুর্যের দোআ করেন: ‘‘তাই ইসরাইল নির্ভয়ে বাস করে, ইয়াকুবের উৎস একাকী থাকে, শস্য ও মদের (upon a land of corn and wine) দেশে বাস করে; আর তার আসমান হতেও শিশির ঝরে পড়ে।’’ (দ্বিতীয় বিবরণ ৩৩/২৮, মো.-১৩)