ঈশ্বর বলেছেন যে, নারী জাতিকে তিনি চিরস্থায়ী শাস্তি হিসেবে স্বামীর কর্তৃত্বাধীন করেছেন। স্ত্রী স্বামীর প্রতি কামুক হবে আর স্বামী স্ত্রীর উপর কর্তৃত্ব করবে: ‘‘তারপর তিনি সেই স্ত্রীলোকটিকে বললেন, ‘আমি তোমার গর্ভকালীন অবস্থায় তোমার কষ্ট অনেক বাড়িয়ে দেব। তুমি যন্ত্রণার মধ্য দিয়ে সন্তান প্রসব করবে। স্বামীর জন্য তোমার খুব কামনা হবে, আর সে তোমার উপর কর্তৃত্ব করবে (he shall rule over thee)।’’ (আদিপুস্তক/ পয়দায়েশ ৩/১৬)
বাইবেলের বক্তব্য, নারী জন্মগতভাবেই পুরুষের চেয়ে নীচতর: কারণ আদমের পরে তার সৃষ্টি। আর নারী জন্মগতভাবেই অপরাধী; কারণ হাওয়া ছলনায় ভুলেছিলেন। আর এ দু’টা কারণে তার জন্য সাজগোজ, কথা বলা, শিক্ষা দেওয়া ইত্যাদি সবই নিষিদ্ধ। নির্বাক কথাহীন প্রতিবাদহীন অনুগত ও বাধ্য থাকাই তার একমাত্র করণীয়। বাইবেলের নির্দেশ: ‘‘আমি এটাও চাই যেন স্ত্রীলোকেরা ভদ্রভাবে ও ভাল বিচারবুদ্ধি ব্যবহার করে উপযুক্ত কাপড়-চোপড় পরে। তারা যেন নানা রকমে চুলের বেণী বেঁধে, সোনা ও মুক্তার গয়না পরে আর দামী দামী কাপড়-চোপড় দিয়ে নিজেদের না সাজায়। তার বদলে যেন তারা ভাল ভাল কাজ দিয়ে নিজেদের সাজায়। যে স্ত্রীলোকেরা নিজেদের আল্লাহ-ভক্ত বলে থাকে সেই স্ত্রীলোকদের পক্ষে সেটাই হবে উপযুক্ত কাজ। কথা না বলে এবং সম্পূর্ণভাবে বাধ্য থেকে স্ত্রীলোকেরা শিক্ষালাভ করুক। শিক্ষা দেবার ও পুরুষের উপর কর্তা হবার অনুমতি আমি কোন স্ত্রীলোককে দিই না। তার বরং চুপ করে থাকাই উচিত, কারণ প্রথমে আদমকে ও পরে হাওয়াকে সৃষ্টি করা হয়েছিল। তা ছাড়া আদম ছলনায় ভোলেননি, কিন্তু স্ত্রীলোক সম্পূর্ণভাবে ভুলেছিলেন এবং আল্লাহর হুকুম অমান্য করেছিলেন। (১ তীমথিয় ২/৯-১৪)