বাইবেলে সবচেয়ে বেশি হত্যার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ভিন্নধর্মের অনুসরণের কারণে। বাইবেলীয় ধর্মের বাইরে ভিন্ন ধর্মের অনুসরণ, ভিন্নধর্মের কোনো অনুষ্ঠান পালন, কোনো দেব-দেবতার পূজা, কোনো দেব-দেবতার জন্য কিছু কোরবানি বা উৎসর্গ ইত্যাদি কারণে ব্যক্তি ও জনপদকে হত্যা করতে বাইবেলে বারবার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ঈশ্বর বলেন: ‘‘মাবুদকে ছাড়া যদি কেউ কোনো দেবতার কাছে কিছু কোরবানী দেয় তবে তাকেও হত্যা করতে হবে।’’ (হিজরত ২২/২০)
ইতোপূর্বে আমরা দেখেছি যে, কোনো একটা গ্রামে একজন মানুষও প্রতিমা পূজা বা অন্য ধর্মের ইবাদত পালন করেছে বলে প্রমাণিত হলে পুরো গ্রামের সকলকে হত্যা করতে হবে এবং পুরো গ্রামটা পুড়িয়ে ফেলতে হবে। (দ্বিতীয় বিবরণ ১৩/১৪-১৬)
বাইবেলীয় সমাজে বসবাসরত অন্য ধর্মের অনুসারীদেরও এ জাতীয় মৃত্যুদণ্ড-র বিধান রয়েছে: ‘‘কোন ইসরাইলীয় কিংবা বনি-ইসরাইলদের মধ্যে বাস করা অন্য জাতির কোন লোক যদি মোলক-দেবতার কাছে তার কোন ছেলে বা মেয়ে কোরবানী করে তবে সেই লোককে হত্যা করতে হবে। দেশের লোকেরাই যেন তাকে পাথর ছুঁড়ে হত্যা করে।’’ (লেবীয় ২০/১-২)
অন্যত্র বাইবেল বলছে: ‘‘তোমাদের মাবুদ আল্লাহর দেওয়া গ্রাম বা শহরগুলোর কোনটাতে হয়তো দেখা যাবে যে, তোমাদের মধ্যেকার কোন পুরষ অথবা স্ত্রীলোক তোমাদের মাবুদ আল্লাহর দেওয়া ব্যবস্থা অমান্য করে তাঁর চোখে যা খারাপ তা করছে। সে হয়তো আমার হুকুমের বিরুদ্ধে গিয়ে দেব-দেবীর সেবা করছে এবং সেই সব দেব-দেবী কিংবা সূর্য, চাঁদ বা আসমানের তারাগুলোর পূজা করছে। যদি এই সব তোমাদের জানানো হয়, তবে তোমরা তা ভাল করে তদন্ত করে দেখবে। যদি তা সত্যি হয় এবং এই রকম ঘৃণার কাজ বনি-ইসরাইলদের মধ্যে করা হয়েছে বলে প্রমাণিত হয়, হবে যে পুরুষ বা স্ত্রীলোক এই রকম জঘন্য কাজ করেছে তোমরা তাকে গ্রাম বা শহরের সদর দরজার কাছে নিয়ে পাথর ছুঁড়ে হত্যা করবে।’’ (দ্বিতীয় বিবরণ ১৭/২-৭)