বাইবেলের ঈশ্বর অনেক কিছুই করতে পারেন না। তিনি এহুদা-বংশের সাথে থেকে দুর্বলদের উপর তাদের জয়ী করলেন, তবে লোহার রথ থাকায় শক্তিশালীদের হারাতে পারলেন না: ‘‘মাবুদ এহুদা-বংশের সহবর্তী ছিলেন, সে পর্বতময় দেশের নিবাসীদের অধিকারচ্যুত করলো। এহুদা সমভূমি নিবাসীদের অধিকারচ্যুত করতে পারল না; কারণ তাদের লোহার রথ ছিল।’’ (বিচারকর্তৃগণ/ কাজীগণ ১/১৯, মো.-১৩)
ঈশ্বরের ভবিষ্যদ্বাণীও ভুল প্রমাণিত হয়েছে। পল দাবি করেন যে, যীশু তাঁকে বলেছিলেন: ‘‘তোমার নিজের লোকদের (ইহুদীদের) এবং অ-ইহুদিদের হাত থেকে আমি তোমাকে রক্ষা করব।’’ (প্রেরিত ২৬/১৭, মো.-০৬)। কিন্তু বাস্তবে এ ওয়াদা কার্যকর হয়নি। সাধু পলকে যীশু রক্ষা করেননি; বরং তিনি নিহত হয়েছেন। ৬২ খ্রিষ্টাব্দের দিকে অ-ইহুদি রোমান সরকার তাকে বন্দি করে এবং মৃত্যুদন্ড প্রদান করে।[1]
বিষয়গুলো খুবই অশোভনীয়। ঈশ্বর কি না জেনে ভবিষ্যদ্বাণী করবেন? না সিদ্ধান্ত নিয়ে জানানোর পরে তা বাস্তবায়নে অক্ষম হবেন?
বাইবেলের বর্ণনানুসারে স্রষ্টা অনেক কিছুই জানতে, দেখতে বা শুনতে পারেন না। কেউ গাছের আড়ালে গেলে তাকে দেখতে পান না; বরং তাকে ডেকে প্রশ্ন করতে বাধ্য হন যে, তুমি কোথায় (আদিপুস্তক ৩/৯)। দূরের মানুষদের অবস্থা দেখতে তাঁকে নিচে নেমে আসতে হয় (আদিপুস্তক ১১/৫)। পৃথিবীর মানুষদের চিৎকার তাঁর কানে পৌঁছালেও তাদের কর্ম তিনি দেখতে পান না। অর্থাৎ তাঁর শ্রবণ শক্তির চেয়ে দর্শন শক্তি দুর্বল (আদিপুস্তক ১৮/২০-২১)