বাইবেল থেকে আমরা জানলাম যে, সকল মিথ্যাই ঈশ্বরের নিকট ঘৃণিত এবং সকল মিথ্যাবাদীর ঠিকানা চিরস্থায়ী নরক। পাশাপাশি সাধারণ বিবেকের দাবি যে, ঈশ্বরের নামে মিথ্যা ভয়ঙ্করতম মহাপাপ। মিথ্যা বা অবিশ্বস্ততার ভয়ঙ্করতম পর্যায় ঈশ্বরের নামে বা পবিত্র পুস্তকের নামে মিথ্যা বলা বা পবিত্র পুস্তকের মধ্যে সংযোজন, বিয়োজন বা পরিবর্তনের মাধ্যমে বিকৃতি করা। উপরের বাইবেলীয় বক্তব্যগুলো কি ধামির্ক ধর্মগুরুদেরকে এরূপ ভয়ঙ্করতম মহাপাপ থেকে নিবৃত করতে পারল না?
পবিত্র আত্মার মাধ্যমেই ধর্মগ্রন্থ পাওয়া যায়। এজন্য ধর্মগ্রন্থের মধ্যে মিথ্যা বলার অর্থই পবিত্র আত্মার নামে মিথ্যা বলা। বাইবেল বলছে: ‘‘মানুষের সমস্ত গুনাহ্ এবং কুফরী মাফ করা হবে, কিন্তু পাক-রূহের বিরুদ্ধে কুফরী মাফ করা হবে না। ইবন আদমের বিরুদ্ধে কেউ কোন কথা বললে তাকে মাফ করা হবে, কিন্তু পাক-রূহের বিরুদ্ধে কথা বললে তাকে মাফ করা হবে না- এই যুগেও না, আগামী যুগেও না।’’ (মথি ১২/৩১-৩২, মো.-০৬)
পবিত্র পুস্তকের মধ্যে সংযোজন, বিয়োজন বা পরিবর্তন কি পবিত্র আত্মার নামে মিথ্যা এবং পবিত্র আত্মার বিরুদ্ধে অন্যায় বা বস্নাসফেমি (blasphemy) নয়? যে ধার্মিক মানুষগুলো ঈশ্বরের জন্য, ধর্মপ্রচারে ও মানবতার সেবায় নিজেদের জীবন বিলিয়ে দিচ্ছেন তাদের মত মহা-ধার্মিক মানুষগুলোও পবিত্র পুস্তকের মধ্যে ঈশ্বরের নামে বা পবিত্র আত্মার নামে মিথ্যা বললেন? অনুবাদে অবিশ্বস্ততার আশ্রয় নিলেন?