যীশু বলেন: ‘‘আমার মেষেরা আমার কণ্ঠস্বর শোনে, আর আমি তাদেরকে জানি.. আর আমি তাদেরকে অনন্ত জীবন দিই, তারা কখনোই বিনষ্ট হবে না এবং কেউই আমার হাত থেকে তাদেরকে কেড়ে নেবে না। আমার পিতা, যিনি তাদের আমাকে দিয়েছেন, তিনি সবচেয়ে মহান; এবং কেউই পিতার হাত থেকে কিছুই কেড়ে নিতে পারে না।’’ (ইউহোন্না/ যোহন ১০/২৭-২৯, মো.-১৩)
এ কথা প্রমাণ করে, যীশুর কণ্ঠস্বর একবার যে শুনেছেন বা যীশুর শিষ্যত্ব যে একবার গ্রহণ করেছেন সে কখনোই বিনষ্ট হবে না। কিন্তু এর কিছু দিন পরেই তিনি বলেন: ‘‘তাহাদের মধ্যে কেউ বিনষ্ট হয়নি, কেবল সেই বিনাশ-সন্তান বিনষ্ট হয়েছে, যেন পাক-কিতাবের কালাম পূর্ণ হয়।’’ (ইউহোন্না/ যোহন ১৭/১২, মো.-১৩)
এখানে সমালোচক বাইবেল বিশেষজ্ঞরা বলেন, কিছুদিন আগে ‘কখনোই বিনষ্ট হবে না’ এবং ‘কেউ কেড়ে নিতে পারবে না’ বললেন। কিন্তু তাঁর ভবিষ্যদ্বাণী ব্যর্থ করে যখন একজন বিনষ্ট হয়ে গেল তখন আবার বললেন, পাক-কিতাবের কালাম পূর্ণ হতে একজন বিনষ্ট হল। কিন্তু পাক কিতাবের কালামটা কি আগে তাঁর জানা ছিল না? অথবা নিজের ভবিষ্যদ্বাণীর ত্রুটি গোপন করতে তিনি এ কথা বললেন? না সমাজে প্রচলিত বিভিন্ন কথা ইঞ্জিল লেখকরা যাচাই ছাড়া সংকলন করেছেন?
এছাড়া ১ তীমথিয় ৪/১ প্রমাণ করে যে, কোনো কোনো বিশ্বাসী যীশুতে বিশ্বাসের পরেও বিভ্রান্ত হবেন: ‘‘পাক-রূহ স্পষ্টভাবেই বলেছেন, ভবিষ্যতে কতগুলো লোক ভ্রান্তিজনক রূহদের ও বদ-রূহদের শিক্ষামালায় মন দিয়ে ঈমান থেকে সরে পড়বে।’’ (মো.-১৩) এ কথাটা ‘কখনো বিনষ্ট হবে না’ এবং ‘কেউ কেড়ে নিতে পারবে না’ কথার সাথে সাংঘর্ষিক।