আমরা দেখলাম যে, পলের মতে শরীয়ত নির্দেশিত পাপগুলো বর্জন করে মুক্তির চেষ্টা করার অর্থই অভিশপ্ত হওয়া। আর পাপীকে ধার্মিক গণনা করার বিষয়ে ঈশ্বরের ক্ষমতার উপর বিশ্বাস রেখে পাপ করলেও বিশ্বাসের কারণেই মুক্তি। যেখানে শরীয়ত নেই সেখানে কোনো পাপই পাপ বলে গণ্য নয়। তিনি অন্যত্র বিষয়টা নিশ্চিত করে বলেন: ‘‘শরীয়ত তো আল্লাহর গজব ডেকে নিয়ে আসে; কিন্তু যেখানে শরীয়ত নেই, সেখানে শরীয়ত লঙ্ঘন করার প্রশ্নও নেই।’’ (রোমীয় ৪/১৫, মো.-১৩)
এ থেকে জানা যায় যে, যারা শরীয়ত মানেন না তাদের কোনো পাপ নেই বা কোনো পাপই তাদের জন্য পাপ বলে গণ্য নয়। কিন্তু এর বিপরীতে পল নিজেই বলেছেন: ‘‘কারণ শরীয়তবিহীন অবস্থায় যত লোক গুনাহ করেছে, শরীয়ত-বিহীন অবস্থায় তাদের বিনাশও ঘটবে; আর শরীয়তের অধীনে যত লোক গুনাহ করেছে, শরীয়ত দ্বারাই তাদের বিচার করা যাবে। কারণ যারা শরীয়ত শোনে তারা যে আল্লাহর কাছে ধার্মিক, এমন নয়, কিন্তু যারা শরীয়ত পালন করে, তারাই ধার্মিক গণিত হবে (the doers of the law shall be justified)।’’ ( রোমীয় ২/১২-১৩, মো.-১৩)
বিষয়টা খুবই জটিল! ব্যবস্থা বা শরীয়ত মানাই যদি ধার্মিক হওয়ার শর্ত হয় তবে শরীয়ত পালনের বিরুদ্ধে তার এত যুক্তি ও আলোচনার আর কী মূল্য থাকল?