প্রশ্ন-৮৩ : যেহেতু মুজাহিদদের প্রথম ফোটা রক্তের সাথে সাথেই তাকে ক্ষমা করে দেওয়া হয়, সেহেতু শাসকদের অনুমতি ব্যতিরেকে জিহাদে গমন করার বিধান কী? শাসকের অনুমতি ছাড়া জিহাদে যোগদানকারী কি শহীদ বলে গণ্য হবে?

উত্তর : শাসক ও পিতামাতার বিরুদ্ধাচরণ করে[1] গমন করলে সে ব্যক্তি অবাধ্যচারী বলে গণ্য হবে।


[1]. এই প্রশ্ন ও পূর্বোক্ত প্রশ্নে বর্ণিত প্রেক্ষাপটে মুসলিম ব্যক্তির জন্য শাসকের নিকট থেকে অনুমতি নেয়া ওয়াজিব। কেননা সে তো শাসকের নিকট বাই‘আত প্রদান করেছে সুতরাং সে কীভাবে শাসকের অনুমতি ও তার আনুগত্য ছাড়া বের হতে পারে? আমাদের জন্য আমাদের সালাফে সালেহীনের মধ্যে উত্তম আদর্শ বিদ্যমান।

ইমাম আবু বাকার মুহাম্মাদ ইবনুল ওয়ালিদ আত্ ত্বরত্বুশী ‘আল-হাওয়াদিছ ওয়াল বিদা‘’ পৃ. নং ১০৯ তে বলেন, যে তামীম আদ-দারী রযি‘আল্লাহু উমার ইবনুল খত্তাব রযিয়াল্লাহু আনহুকে বলেন, ‘আমাকে আল্লাহর নিকট দু‘আ করা, কিচ্ছা-কাহিনী বর্ণনা করা এবং মানুষকে উপদেশ প্রদান করার অনুমতি প্রদান করুন।

উমার ইবনুল খত্তাব রযিয়াল্লাহু আনহু তার প্রতুত্তরে বললেন: না।

দাওয়াত ও নছীহত প্রদানের ক্ষেত্রেও তামীম আদ-দারী রযিয়াল্লাহু আনহু উমার রযিয়াল্লাহু আনহুর নিকট থেকে অনুমতি গ্রহণ করেছেন। সুতরাং অন্যান্য বিষয়াবলি অনুমতি ছাড়া কীভাবে হতে পারে? বরং সেক্ষেত্রে শাসকের অনুমতি গ্রহণ করা অত্যাবশ্যক।

বর্তমানে কিছু লোক সালাতে দু‘আয়ে ক্বুনুত্ব গ্রহণের ক্ষেত্রে শাসকের অনুমতি গ্রহণ করাকে অস্বীকার করে বলে, ‘এমনকি ক্বুনুত্ব পড়ার ক্ষেত্রেও শাসকদের অনুমতি গ্রহণ করতে হবে। নতুবা আমরা খারিজী হয়ে যাব?

আমি বলব, তাদের এই মন্তব্য নিছক ঠাট্টা-বিদ্রূপ। আল্লাহর অবাধ্যচরণ নয় এমন বিষয়ে যারা মানুষদেরকে শাসকের বিরোধিতা না করতে ও তাদের নিষেধ-অনুমতি মেনে চলতে আহবান করে তাদের প্রতি এই কটাক্ষ করা হয়। কেননা এধরণের মন্তব্যের মাধ্যমে সে আল্লাহর কুরআন, সুন্নাহ ও ইজমার বিরোধিতা করে যদি তার নিকট ইলম থাকতো তাহলে এভাবে কটাক্ষ করত না।