উত্তর : জ্বী, তার উপর কোন আস্থা রাখা যাবে না। যদি প্রকাশ্য বিদাতী হয় তাহলে তার উপর আস্থা রাখা যাবে না এবং তার ছাত্রত্বও গ্রহণ করা যাবে না। কেননা ছাত্ররা শায়খণ্ডউসতাযের দ্বারা প্রভাবিত হয়। সুতরাং বিদাতীদের থেকে দূরে অবস্থান করা ওয়াজীব। সালাফগণ বিদাতীদের নিকট বসা, তাদের সাথে সাক্ষাৎ করা, তাদের সান্নিধ্যে যাওয়া থেকে বারণ করতেন। যাতে তাদের সাথে চলাফেরার কারণে তাদের অনিষ্ট এদের মাঝেও সংক্রমিত না হয়।[1]
[1]. প্রত্যেক বন্ধু তার বন্ধুর অনুগামী/অনুকরণকারী হয়। বলা হয় অতিরিক্ত কথা জাদুকেও পরাক্রান্ত করে। বেশি চূর্ণকরার দ্বারা ঢালাইও ছিন্ন বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে।
বন্ধুত্ব- সাহচর্য লেনদেন ইত্যাদির প্রভাব রয়েছে। আবু যর আল হিরাবী ক্বাযী আবু বকর ইবনে ত্বইয়িবের নিকট বারবার যাতায়াতের ফলে তার দ্বারা প্রভাবিত হয়ে আশ'আরী মতবাদ গ্রহণ করে। (দেখুন তাযকিরাতুল হুফফায ৩/১১০৪-১১০৫, আস-সিয়ার ১৭/৫৫৭-৫৫৯)। ইমরান ইবনে হাত্তানের প্রতি লক্ষ্য করুন। যিনি একদল ছাহাবায়ে কিরামের নিকট থেকে হাদীছ বর্ণনা করেছেন কিন্তু খারিজীদের সাথে উঠা-বসার ফলে তিনি খারিজী মতবাদ গ্রহণ করেন। ইয়া'ক্বুব ইবনে শায়বাহ (রহ.) বলেন, ইমরান ইবনে হাত্তান খারিজী মতবাদ গ্রহণ করার কারণ হলো তিনি খারিজী মতবাদে দীক্ষিত তার চাচাতো বোন কে আহলুস সুন্নাহ ওয়াল জামা'আহ তে ফিরিয়ে আনার উদ্দেশ্যে বিয়ে করেন। কিন্তু ফলাফল দাঁড়ায় উল্টো। তিনি ফিরিয়ে আনার বিপরীতে নিজেই খারিজী মতবাদে দীক্ষিত হোন। (তাহযীবুত তাহযীব ৮/১১৩)
সাহচর্যের মাধ্যমে অন্যের দ্বারা প্রভাবিত হওয়ার বিষয়ে সবচেয়ে স্পষ্ট কথা হলো রসূলুল্লাহ সল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন "ব্যক্তি তার বন্ধুর দ্বীন গ্রহণ করে। সুতরাং ব্যক্তিকে দেখো সে কার সাথে বন্ধুত্ব করে।" (সিলসিলাতুল আহাদীছিছ সহীহাহ ৯২৭)।