প্রশ্ন-৫০ : ছাত্র হয়ে শায়খকে পরামর্শ দেয়ার পদ্ধতি কী?

উত্তর : এর বিপরীত হওয়া উচিত। শায়খ (শিক্ষক) ছাত্রকে পরামর্শ-উপদেশ প্রদান করবেন। কেননা শায়খই বিভিন্ন বিষয় ছাত্রের চেয়ে ভালো জানেন। ছাত্র তার উস্তাযের নিকট থেকে জ্ঞানার্জন করতে থাকবে। অনেক সময় কোন সঠিক কাজও ছাত্রের কাছে বেঠিক মনে হতে পারে। যদি ছাত্রের মনে কোন বিষয়ে খটকা বাধে তাহলে সে আদবের সাথে তার শায়খকে জিজ্ঞেস করবে।[1]

আর যদি শায়খ (শিক্ষক) ভ্রষ্ট বা আহলুস সুন্নাহ ওয়াল জামাত বিরোধী হয় তাহলে তার নিকট ইলম শিক্ষা করা জায়েয নয়। যদি হকপন্থি শায়খের নিকট থেকে ভুল-ভ্রান্তি পরিলক্ষিত হয় তাহলে ছাত্র প্রশ্নের ছুরতে শায়খকে পরামর্শ দেবে। যেমন ছাত্র বলবে, উস্তাদ জ্বী, কেউ যদি এ কাজ করে তাহলে তার হুকুম কি হবে? ইনশাআল্লাহ, এরকমভাবে বলার দ্বারাই তিনি সতর্ক হবেন এবং প্রশ্নকারীর উদ্দেশ্য হাসিল হয়ে যাবে।


[1]. সালাফগণ তাদের শায়খদেরকে শ্রদ্ধা করতেন, তারা তাদেরকে যথাযথ মূল্যায়ন করতেন, তাদের সাথে শিষ্টাচার পূর্ণ আচরণ করতেন। এটা সবার উপর ওয়াজিব।

ইবনু আব্দিল বার (রহ.) ‘জামি‘উল ‘ইলমি ওয়া ফাদ্বলিহী’ নামক গ্রন্থে আলী (রা.) থেকে বর্ণনা করেন, তিনি বলেছেন, ‘‘আপনার উপর আলিমদের হক (অধিকার) হলো, আপনি তার পাশ দিয়ে অতিক্রম করার সময় তাকে সালাম দিবেন, তার সামনে বসবেন কিন্তু আপনার হাত উঁচিয়ে তার প্রতি ইশারা করবেন না এবং তার প্রতি ভ্রূ-কুটিও করবেন না এবং বলবেন না যে অমুকে আপনার এমতের সাথে মতানৈক্য করেছে। তার কাপড় ধরবেন না। তাকে প্রশ্নবাণে জর্জরিত করবেন না। তিনি তো আপনার নিকট পাকা খেজুর বিশিষ্ট খেজুর গাছের ন্যায়। তার নিকট থেকে কিছু না কিছু আপনি পেতেই থাকবেন’ (পৃ. ২৩১)।