উত্তর : এটা মনে করার বা ধারণার কোনো বিষয় নয়। (বরং) এটাই বাস্তবতা। শুধু আলিমগণই দাওয়াতী কাজ করবেন। তবে এমন কতগুলি স্পষ্ট বিষয় রয়েছে যা প্রত্যেকেই জানে। (সেসব বিষয়ে) প্রত্যেকে তার জ্ঞান অনুযায়ী সৎকাজের আদেশ ও অসৎ কাজ থেকে নিষেধ করবে। সে তার পরিবারের সদস্যদের সলাত এবং সুস্পষ্ট বিষয়াবলীর নির্দেশ প্রদান করবে। এটা সকলের উপর ওয়াজিব। এমনকি সাধারণ মানুষের উপর আবশ্যক যে, তারা সন্তানকে মাসজিদে সলাত আদায়ের নির্দেশনা জারী করবে। রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন,
مُرُوا أَوْلَادَكُمْ بِالصَّلَاةِ لِسَبْعٍ، وَاضْرِبُوهُمْ عَلَيْهَا لِعَشْرٍ
‘সন্তান ৭ বছর বয়সে উপনীত হলে তাদেরকে সালাত আদায়ের জন্য আদেশ প্রদান কর। আর ১০ বছরে উপনীত হলে সালাত পরিত্যাগ করলে তাদেরকে প্রহার কর’।[1] রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আরো বলেন,
كلكم راع، وكلكم مسؤول عن رعيته
‘তোমরা প্রত্যেকেই দায়িত্বশীল এবং প্রত্যেকেই তার দায়িত্ব সম্পর্কে জিজ্ঞাসিত হবে’।[2]
একেই লালন-পালন বলা হয়। আর একেই বলা হয় সৎ কাজের আদেশ এবং অসৎ কাজের নিষেধ। তিনি আরো বলেন,
من رأى منكم منكراً فليغيره بيده؛ فإن لم يستطع فبلسانه؛ فإن لم يستطع فبقلبه
‘তোমাদের কেউ যদি কোনো গর্হিত কাজ সংঘটিত হতে দেখে তবে হাত দ্বারা পরিবর্তন করে (প্রতিরোধ করে)। এতে সক্ষম না হলে যেন মুখ দ্বারা পরিবর্তন করে (প্রতিবাদ করে)। এতেও সক্ষম না হলে অন্তর দ্বারা পরিবর্তন করে (পরিকল্পনা করে)’।[3]
সুতরাং সাধারণ মানুষ থেকে কাম্য হবে যে, সে তার পরিবারের সদস্য ও অন্যদেরকে সালাত, যাকাত, আল্লাহর আনুগত্য, পাপাচার বর্জন ইত্যাদির নির্দেশ দিবে এবং তার বাড়িকে পাপাচার হতে মুক্ত রাখবে। সন্তান-সন্ততিকে আনুগত্যের উপর লালন পালন করবে। এটা তার থেকে কাম্য। যদিও সে সাধারণ মানুষ হয়। কেননা এসব ব্যাপারে প্রত্যেকেই অবগত। এটা (খুবই) স্পষ্ট বিষয়।
পক্ষান্তরে ফাতাওয়া প্রদান, হালাল-হারাম, শিরক-তাওহীদ বর্ণনার বিষয়টি শুধুমাত্রই আলিম দ্বারা সম্পাদিত হবে।
[2]. সহীহ বুখারী হা/৮৫৩
[3]. সহীহ মুসলিম হা/৪৯।