উত্তর : এটা জামাতের উপর নির্ভরশীল। যদি জামাতগুলিতে কুরআন সুন্নাহ বিরোধী বিষয় থাকে তাহলে সম্পৃক্ত ব্যক্তি বা সদস্যও বিদাতী বলে গণ্য হবে।[1]
[1]. শায়খ বাকর ইবনে আবু যায়দ হুকমুল ইনতিমা ইলাল ফিরাকি ওয়াল আহযাবি ওয়াল জামা‘আতিল ইসলামিয়্যাহ পৃ. ৯৬-৯৭ বলেছেন, ‘উম্মাহর কারো জন্য একমাত্র আমাদের নাবী ও রসূল মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ছাড়া অন্য কোন ব্যক্তিকে দাঁড় করিয়ে তার দিকে আহবান করা, তার ভিত্তিতে ভালোবাসা ও শত্রুতা পোষণ করা বৈধ নয়। যদি কেউ রসূল মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ছাড়া অন্য কোন ব্যক্তিকে একাজে দাঁড় করাবে সে বিদাতী ও বিভ্রান্ত বলে পরিগণিত হবে।
শায়খুল ইসলাম ইমাম ইবনু তাইমীয়া (রহ.) বলেন, ‘উম্মাহর কারো জন্য একমাত্র আমাদের নাবী ও রসূল মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কে ছাড়া অন্য কোন ব্যক্তিকে মানদন্ড দাঁড় করানো, তার পথে আহবান করা, তার ভিত্তিতে ভালোবাসা ও শত্রুতা পোষণ করা বৈধ নয়। কুরআন সুন্নাহ ও ইজমা’ ছেড়ে তাদের কোন কথাকে মূলনীতি হিসাবে গ্রহণ করে তার ভিত্তিতে ভালোবাসা ও শত্রুতা পোষণ করা বৈধ নয়। বরং এমনটি করা বিদাতীদের কাজ, যারা নিজেদের জন্য কোন ব্যক্তি বা কথাকে দাঁড় করিয়ে তার ভিত্তিতে উম্মতের মধ্যে বিভক্তি সৃষ্টি করে। এর ভিত্তিতে বন্ধুত্ব স্থাপন করে বা শত্রুতা পোষণ করে।
শায়খ বাকর হাফিযাহুল্লাহ শায়খুল ইসলাম (রহ.) র মত উল্লেখের পর বলেন, বর্তমানে অধিকাংশ ইসলামী দল ও সংগঠনের অবস্থা এমনই; তারা তাদের কিছু ব্যক্তিকে নেতা হিসাবে দাঁড় করায়, এরপর তাদের বন্ধুদের সাথে বন্ধুত্ব করে এবং তাদের শত্রুদের সাথে শত্রুতা করে এবং কুরআন সুন্নাহর দিকে প্রত্যাবর্তন করা ব্যতিরেকে তাদের প্রত্যেক ফাতওয়া-নির্দেশনার আনুগত্য করে। এমনকি তাদের ফাতওয়া-নির্দেশনার ব্যাপারে দলীল প্রমাণ ও জিজ্ঞাসা করে না।