উত্তর: ‘আরাফাতের ময়দানে যে লোকটি অসুস্থ হয়েছে, তার অসুখ যদি এমন পর্যায়ের হয় যে, হজের অবশিষ্ট কাজ পূর্ণ করা তার জন্য অসম্ভব, আর ইহরামের পূর্বে সে শর্ত করেছে (‘যদি আমি বাধাগ্রস্ত হই তবে যেখানে বাধাগ্রস্ত সেখানেই হালাল হয়ে যাব’ এরূপ কথা বলেছে।) তবে সে ইহরাম খুলে হালাল হয়ে যাবে কোনো অসুবিধা হবে না। কিন্তু এটা ফরয হজ হলে পরবর্তী বছর পুনরায় তা আদায় করতে হবে। আর ইহরাম বাঁধার সময় যদি শর্ত না করে থাকে এবং হজের কাজ পূর্ণ করতে সক্ষম না হয়, তবে বিশুদ্ধ মতানুযায়ী সে ইহরাম খুলে হালাল হয়ে যাবে। কিন্তু তাকে হাদঈ যবেহ করতে হবে। আল্লাহ তা‘আলা বলেন,
﴿وَأَتِمُّواْ ٱلۡحَجَّ وَٱلۡعُمۡرَةَ لِلَّهِۚ فَإِنۡ أُحۡصِرۡتُمۡ فَمَا ٱسۡتَيۡسَرَ مِنَ ٱلۡهَدۡيِ﴾ [البقرة: ١٩٦]
“তোমরা আল্লাহর জন্য হজ-উমরা পূর্ণ কর। যদি বাধাগ্রস্ত হও, তবে সহজ সাধ্য কুরবানী করবে।” [সূরা আল-বাকারাহ, আয়াত: ১৯৬]
এখানে বাধাগ্রস্ত হওয়ার অর্থ হচ্ছে, শত্রু দ্বারা বাধাপ্রাপ্ত হওয়া বা অন্য যে কোনো কারণে বাধাপ্রাপ্ত হওয়া। আর বাধাগ্রস্ত হওয়া মানে, কোনো কারণবশতঃ হজ-উমরার কাজ পূর্ণ করতে সক্ষম না হওয়া।
এ ভিত্তিতে সে হালাল হয়ে যাবে এবং হাদঈ যবেহ করবে। এছাড়া তার উপর অন্য কিছু আবশ্যক হবে না। কিন্তু যদি ফরয হজ আদায় না করে থাকে তবে পরবর্তী বছর তা আদায় করবে।
আর এ অসুস্থ ব্যক্তি যদি হজের কাজ চালিয়ে যায়। ‘আরাফাত থেকে ফিরে এসে মুযদালিফায় রাত কাটায় কিন্তু মিনায় রাত কাটাতে সক্ষম না হয় এবং কঙ্কর নিক্ষেপ করতে না পারে, তবে প্রত্যেকটি ওয়াজিবের জন্য একটি করে দম (কুরবানী বিশুদ্ধ হয় এমন প্রাণী) প্রদান করবে। দু’টি দম প্রদান করতে হবে। একটি দম মিনায় রাত না কাটানোর জন্য, অন্যটি জামরাসমূহে কঙ্কর নিক্ষেপ না করার জন্য।
কিন্তু সুস্থ হলে তাওয়াফে ইফাদ্বা আদায় করবে। কেননা বিশুদ্ধ মতানুযায়ী তাওয়াফে ইফাদ্বা যিলহজের শেষ পর্যন্ত করা যাবে। কিন্তু বাধা যদি আরো বড় হয় তবে, বাধা দূর হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করবে তারপর তাওয়াফ করবে।