সম্মানিত পাঠক, ঈসায়ীগণ কেতাবুল মোকাদ্দসের একটি বিধানও মানেন না। শুধু দু-চারটি কথাকে বিকৃত করে সাধু পলের ত্রিত্ববাদী আকীদা প্রমাণ করতে চেষ্টা করেন। ঈসাসী প্রচারককে তৌরাত শরীফের লেবীয় পুস্তকের ১৫ অধ্যায়টি পড়তে বলুন। পুরুষ ও নারীর নাপাকির অদ্ভুৎ সব বিধান! আপনি বলুন: আপনি বা কোনো খৃস্টান কি এ বিধানগুলি মানেন? তৌরাতের কোন্ বিধানটি আপনারা প্রতিষ্ঠা করেন?
তৌরাতের সহজ একটি মৌখিক বিধান প্রতিষ্ঠার জন্য তাঁকে দাওয়াত দিন। তাওরাত বলে: “যে ব্যক্তি কোনো ক্ষোদিত বা ছাঁচে ঢালা প্রতিমা- সদাপ্রভুর ঘৃণিত বস্তু- শিল্পকরের হস্ত নির্মিত বস্তু নির্মাণ করিয়া গোপনে স্থাপন করে সে শাপগ্রস্ত (অভিশপ্ত)। তখন সমস্ত লোক উত্তর করিয়া বলিবে: আমেন” সকল ব্যভিচারী শাপগ্রস্ত... “যে কেহ এই ব্যবস্থার কথাসকল পালন করিবার জন্য সেই সকল অটল না রাখে, সে শাপগ্রস্ত। তখন সমস্ত লোক বলিবে: আমেন। (দ্বিতীয় বিবরণ ২৭/১৫, ২০-২৩, ২৬)
খৃস্টান প্রচারককে বলুন, আসুন এ বিধানটি কায়েম করে দো‘আ করি: যে সকল পাদরি, পোপ ও বিশপ যীশু, মেরি ও অন্যান্য মানুষের ক্ষোদিত, ছাঁচে ঢালা বা শিল্পীর আঁকা মূর্তি, প্রতিকৃতি বা ছবি তৈরি করে চার্চে ও সমাজে প্রতিষ্ঠা করেছেন, তাওরাতের বিধান প্রতিষ্ঠায় অটল থাকেন নি বরং ঈসা মাসীহ পাপ বহন করবেন বলে প্রতারণা করে সকল প্রকারের পাপাচার ও ব্যভিচার প্রশ্রয় দিয়েছেন, মানব সমাজকে এবং চার্চগুলোকে ব্যভিচারের আখড়া বানিয়েছেন, তারা সকলেই আল্লাহর অনন্ত লা‘নত ও অভিশাপে অভিশপ্ত হোক! আমীন!! খৃস্টান প্রচারক যদি ‘আমীন’ বলতে দ্বিধা করেন তাহলে বুঝবেন যে, তিনি কিতাবুল মোকাদ্দসে বিশ্বাস করেন না।