আল্লাহ আপনার প্রতি রহম করুন, জেনে রাখবেন যে, পরিপূর্ণ মুমিনগণ যাবতীয় কবীরা গুনাহ্ ও অশ্লীল কর্মকাণ্ড থেকে বিরত থাকে। আল্লাহ তা‘আলা বলেছেন:
﴿ وَلِلَّهِ مَا فِي ٱلسَّمَٰوَٰتِ وَمَا فِي ٱلۡأَرۡضِ لِيَجۡزِيَ ٱلَّذِينَ أَسَٰٓـُٔواْ بِمَا عَمِلُواْ وَيَجۡزِيَ ٱلَّذِينَ أَحۡسَنُواْ بِٱلۡحُسۡنَى ٣١ ٱلَّذِينَ يَجۡتَنِبُونَ كَبَٰٓئِرَ ٱلۡإِثۡمِ وَٱلۡفَوَٰحِشَ إِلَّا ٱللَّمَمَۚ إِنَّ رَبَّكَ وَٰسِعُ ٱلۡمَغۡفِرَةِۚ هُوَ أَعۡلَمُ بِكُمۡ إِذۡ أَنشَأَكُم مِّنَ ٱلۡأَرۡضِ وَإِذۡ أَنتُمۡ أَجِنَّةٞ فِي بُطُونِ أُمَّهَٰتِكُمۡۖ فَلَا تُزَكُّوٓاْ أَنفُسَكُمۡۖ هُوَ أَعۡلَمُ بِمَنِ ٱتَّقَىٰٓ ٣٢ ﴾ [النجم: ٣١، ٣٢]
“আর আসমানসমূহে যা কিছু আছে ও যমীনে যা কিছু আছে তা আল্লাহরই। যাতে তিনি তাদের কাজের প্রতিফল দিতে পারেন, যারা মন্দ কাজ করে এবং তাদেরকে তিনি উত্তম পুরস্কার দিতে পারেন, যারা সৎকাজ করে; যারা বিরত থাকে গুরুতর পাপ ও অশ্লীল কাজ থেকে, ছোটখাট অপরাধ ব্যতীত। নিশ্চয় আপনার রবের ক্ষমা অপরিসীম; তিনি তোমাদের সম্পর্কে সম্যক অবগত---যখন তিনি তোমাদেরকে সৃষ্টি করেছিলেন মাটি হতে এবং যখন তোমরা মাতৃগর্ভে ভ্রূণরূপে ছিলে। অতএব তোমরা আত্মপ্রশংসা করো না, তিনিই সম্যক জানেন তার সম্পর্কে, যে তাকওয়া অবলম্বন করেছে।”[1]
কিন্তু বান্দা অপরাধে জড়িয়ে যাওয়া থেকে নিজেকে রক্ষা করতে সমর্থ হয় না; আর এ জন্যেই আল্লাহ তা‘আলা প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন এবং তাঁর প্রতিশ্রুতি সত্য; সুতরাং তিনি বলেছেন আর তার বাণী সত্য:
إِن تَجۡتَنِبُواْ كَبَآئِرَ مَا تُنۡهَوۡنَ عَنۡهُ نُكَفِّرۡ عَنكُمۡ سَئَِّاتِكُمۡ وَنُدۡخِلۡكُم مُّدۡخَلٗا كَرِيمٗا
“তোমাদেরকে যা নিষেধ করা হয়েছে, তার মধ্যে যা কবীরা গোনাহ্ তা থেকে বিরত থাকলে আমরা তোমাদের ছোট পাপগুলো ক্ষমা করব এবং তোমাদেরকে সম্মানজনক স্থানে প্রবেশ করাব।”[2]এখানে উদ্দেশ্য হলো পাপ মোচন ও গুনাহ্ ক্ষমার বর্ণনা করা, যখন কবীরা গুনাহসমূহ থেকে বিরত থাকা হয় .... আর এখানে এটাই হলো আল্লাহ তা‘আলার ওয়াদা এবং মুমিনদের জন্য তাঁর পক্ষ থেকে সুসংবাদ।
>[2] সূরা আন-নিসা, আয়াত: ৩১