সালাত মানুষের নৈতিক উৎকর্ষ সাধনের অন্যতম হাতিয়ার। সালাত মানুষকে খারাব ও মন্দ কাজ হতে বিরত রাখে এবং ভালো কাজের প্রতি উদ্বুদ্ধ করে। এ কারণে একজন বাচ্চা যখন ভালো মন্দ বিচার করতে পারে, তখন থেকেই তাকে সালাত আদায় করার আদেশ দিতে হবে। যাতে সে সালাত আদায়ে অভ্যস্ত হয় এবং বড় হয়ে সালাত আদায়ের প্রতি যত্নবান হয়। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,
«مُرُوا أَوْلَادَكُمْ بِالصَّلَاةِ وَهُمْ أَبْنَاءُ سَبْعِ سِنِينَ، وَاضْرِبُوهُمْ عَلَيْهَا، وَهُمْ أَبْنَاءُ عَشْرٍ وَفَرِّقُوا بَيْنَهُمْ فِي الْمَضَاجِعِ»
“তোমাদের বাচ্চাদের সাত বছর বয়সে সালাত আদায়ের আদেশ দাও এবং বছর বয়সে সালাত আদায় না করার জন্য তাদের প্রহার কর। আর তোমরা তাদের বিছানা আলাদা করে দাও”।[1]
হাদিস দ্বারা প্রমাণিত হয় ইসলাম যুবকদের অধিক গুরুত্ব দেয়। যুবকদের বয়সের পরিবর্তনের সাথে তাদের নির্দেশনাও বিভিন্ন সময় বিভিন্ন রকম হয়ে থাকে। ক্ষমতা ও যোগ্যতা অনুযায়ী ইসলাম যুবকদের দিক নির্দেশনা দিয়ে থাকেন। যেমন, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,
«كُلُّ مَوْلُودٍ يُولَدُ عَلَى المِلَّةِ فَأَبَوَاهُ يُهَوِّدَانِهِ أَوْ يُنَصِّرَانِهِ أَوْ يُشَرِّكَانِهِ»
“প্রতিটি নবজাতক ইসলামী ফিতরাতের উপর জন্মলাভ করে। কিন্তু তার পিতা-মাতা তাকে ইয়াহুদী, খৃষ্টান অথবা মুশরিক বানায়”।[2]
>[2] তিরমিযি, হাদিস: ২১৩৮