উত্তর: বল, ঈমানের দ্বারাই দুনিয়া ও আখিরাতে আসমান ও জমিনের বরকতসমূহের দরজা উন্মুক্ত হওয়াসহ যাবতীয় কল্যাণ ব্যক্তি, জামা‘আত ও উম্মতের জন্যে হাসিল হয়। আল্লাহ তা‘আলা বলেন,
وَلَوۡ أَنَّ أَهۡلَ ٱلۡقُرَىٰٓ ءَامَنُواْ وَٱتَّقَوۡاْ لَفَتَحۡنَا عَلَيۡهِم بَرَكَٰتٖ مِّنَ ٱلسَّمَآءِ وَٱلۡأَرۡضِ وَلَٰكِن كَذَّبُواْ فَأَخَذۡنَٰهُم بِمَا كَانُواْ يَكۡسِبُونَ [الاعراف: ٩٥]
“আর যদি জনপদসমূহের অধিবাসীরা ঈমান আনত এবং তাকওয়া অবলম্বন করত তাহলে আমি অবশ্যই তাদের জন্য আসমান-জমিনের বরকতসমূহ খুলে দিতাম, কিন্তু তারা অস্বীকার করল। অতঃপর তাদের কৃতকর্মের কারণে আমি তাদেরকে পাকড়াও করলাম”। [সূরা আল-আরাফ, আয়াত: ৯৬]
অনুরূপ যথাযথভাবে ঈমানের বাস্তবায়ন দ্বারা অন্তরের প্রশান্তি লাভ, আরাম হাসিল এবং বক্ষ উন্মুক্ত হয়। আল্লাহ তা‘আলা বলেন,
ٱلَّذِينَ ءَامَنُواْ وَتَطۡمَئِنُّ قُلُوبُهُم بِذِكۡرِ ٱللَّهِۗ أَلَا بِذِكۡرِ ٱللَّهِ تَطۡمَئِنُّ ٱلۡقُلُوبُ [الرعد: ٢٨]
“যারা ঈমান আনে এবং আল্লাহর স্মরণে যাদের অন্তর প্রশান্ত হয়, জেনে রাখ, আল্লাহর স্মরণ দ্বারাই অন্তরসমূহ প্রশান্ত হয়’। [সূরা আর-রাদ, আয়াত: ২৮] তাওহীদে বিশ্বাসী মু’মি-রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সুন্নাতের সত্যিকার অনুসারী ব্যক্তি মাত্রই পবিত্র জীবন যাপন করে। সে চিন্তা মুক্ত ও প্রশান্ত আত্মার অধিকারী। হতাশ ও পেরেশান হন না। শয়তানরা তার ওপর ওয়াসওয়াসা, ভয় ও উদ্ভেগ-উৎকণ্ঠাসহ প্রভাব বিস্তার করতে পারে না। সে দুনিয়ায় নিরাশ ও হতভাগা হয় না। আর সে তার আখিরাতে নি‘আমতপূর্ণ জান্নাতে হবে। আল্লাহ তা‘আলা বলেন:
مَنۡ عَمِلَ صَٰلِحٗا مِّن ذَكَرٍ أَوۡ أُنثَىٰ وَهُوَ مُؤۡمِنٞ فَلَنُحۡيِيَنَّهُۥ حَيَوٰةٗ طَيِّبَةٗۖ وَلَنَجۡزِيَنَّهُمۡ أَجۡرَهُم بِأَحۡسَنِ مَا كَانُواْ يَعۡمَلُونَ [النحل: ٩٧]
“যে মুমিন অবস্থায় নেক আমল করবে, পুরুষ হোক বা নারী, আমি তাকে পবিত্র জীবন দান করব এবং তারা যা করত তার তুলনায় অবশ্যই আমি তাদেরকে উত্তম প্রতিদান দেব”। [সূরা আন-নাহাল, আয়াত: ৯৭]
হে মুসলিম ভাই ও মুসলিম বোন, আল্লাহর এই ওয়াদার অন্তর্ভুক্ত হয়ে তুমি এই সুসংবাদ গ্রহণ করে সফলদের অন্তর্ভুক্ত হয়ে যাও।