উত্তর: বল, যে উসীলাকে শরী‘আত বাতিল করেছে, তাই নিষিদ্ধ উসীলা। যেমন, কেউ মৃতদের উসীলা পেশ করল এবং তাদের নিকট মদদ ও সুপারিশ প্রার্থনা করল। সকল উম্মতের ঐকমতে এটা শির্কী উসীলা। যদিও তারা নবী অথবা অলী হয়ে থাকেন। আল্লাহ তা‘আলা বলেন,
وَٱلَّذِينَ ٱتَّخَذُواْ مِن دُونِهِۦٓ أَوۡلِيَآءَ مَا نَعۡبُدُهُمۡ إِلَّا لِيُقَرِّبُونَآ إِلَى ٱللَّهِ زُلۡفَى [الزمر: ٣]
“আর যারা আল্লাহ ছাড়া অন্যদেরকে অভিভাবক হিসেবে গ্রহণ করে তারা বলে, ‘আমরা কেবল এ জন্যই তাদের ইবাদত করি যে, তারা আমাদেরকে আল্লাহর নিকটবর্তী করে দেবে” [সূরা আয-যুমার, আয়াত: ৩] অতঃপর তাদের গুনাগুণ তুলে ধরেন তাদের উপর সিদ্ধান্ত দেওয়ার মাধ্যমে।আল্লাহ তা‘আলা বলেন,
أَلَا لِلَّهِ ٱلدِّينُ ٱلۡخَالِصُۚ وَٱلَّذِينَ ٱتَّخَذُواْ مِن دُونِهِۦٓ أَوۡلِيَآءَ مَا نَعۡبُدُهُمۡ إِلَّا لِيُقَرِّبُونَآ إِلَى ٱللَّهِ زُلۡفَىٰٓ إِنَّ ٱللَّهَ يَحۡكُمُ بَيۡنَهُمۡ فِي مَا هُمۡ فِيهِ يَخۡتَلِفُونَۗ إِنَّ ٱللَّهَ لَا يَهۡدِي مَنۡ هُوَ كَٰذِبٞ كَفَّارٞ [الزمر: ٣]
“যে বিষয়ে তারা মতভেদ করছে আল্লাহ নিশ্চয় সে ব্যাপারে তাদের মধ্যে ফয়সালা করে দেবেন। যে মিথ্যাবাদী কাফির। নিশ্চয় আল্লাহ তাকে হিদায়াত করেন না”। [সূরা আয-যুমার, আয়াত: ৩] তাদের ওপর কুফরি ও দীন থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত দিয়েছেন। অনুরূপ শরী‘য়ত নিষিদ্ধ উসীলা হলো, যে ব্যাপারে শরী‘য়াত চুপ রয়েছে। কারণ তাওয়াসসুল এক প্রকার ইবাদত। আর ইবাদত অহীর ওপর নির্ভরশীল। অবৈধ উসীলার উদাহরণ হলো, কারো সম্মান অথবা সত্তা অথবা অন্য কিছুর দ্বারা উসীলা দেয়া। যেমন কতক লোকের কথা: হে আল্লাহ! হাবীবের সম্মানে আমাকে ক্ষমা কর। অথবা হে আল্লাহ! আমরা তোমার নবী অথবা নেককার লোকের সম্মান অথবা অমুকের মাটির উসিলায় তোমার কাছে প্রার্থনা করছি। এরূপ উসীলা আল্লাহ ও তাঁর নবী অনুমোদন করেননি। তাই এটি এমন বিদআত, যা থেকে সতর্ক থাকা ওয়াজিব। এরূপ উসীলা ও ইতিপূর্বে যে নিষিদ্ধ উসীলার কথা বর্ণনা হলো, সাহাবী, তাবেঈ ও হেদায়াতপ্রাপ্ত ইমামদের কারো থেকে জানা যায়নি। আল্লাহ তাদের সবার ওপর সন্তুষ্ট হোন।