প্রশ্ন: যখন তোমাকে বলা হয়, আল্লাহর বাণী: ﴿وَلَوۡ أَنَّهُمۡ إِذ ظَّلَمُوٓاْ أَنفُسَهُمۡ جَآءُوكَ فَٱسۡتَغۡفَرُواْ ٱللَّهَ وَٱسۡتَغۡفَرَ لَهُمُ ٱلرَّسُولُ لَوَجَدُواْ ٱللَّهَ تَوَّابٗا رَّحِيمٗا ٦٤ ﴾ [النساء : ٦٤] “আর তারা যখন নিজেদের প্রতি যুলম করেছিল তখন তোমার কাছে আসত ও আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাইত এবং রাসূলও তাদের জন্য ক্ষমা চাইতেন, তাহলে অবশ্যই তারা আল্লাহকে তাওবা কবুলকারী, দয়ালু পেত”। [সূরা আন-নিসা, আয়াত: ৬৪] এ থেকে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের মৃত্যুর পরও কি তার কাছে ক্ষমা প্রার্থনার আবেদন করা বৈধ প্রমাণিত হয়?

উত্তর: বল, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের কাছে ক্ষমা প্রার্থনার আবেদন করা তার জীবিত থাকার সাথেই খাস; তাঁর মৃত্যুর পর নয়। সাহাবীগণ ও উত্তম যুগের লোকদের থেকে সহীহ সনদে প্রমাণিত হয়নি যে, তারা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের মৃত্যুর পর তার নিকট ক্ষমা প্রার্থনা আবেদন করত। আয়েশা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহা যখন নিজের জন্যে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের দু‘আ ও তার জন্য ক্ষমা প্রার্থনার আবেদন করলে, তখন তিনি বলেছেন, “আমি জীবিত থাকলে তোমার জন্যে ইস্তেগফার ও দু‘আ করব”। (সহীহ বুখারী) হাদীসটি আয়াতের ব্যাখ্যা করছে। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের কাছে ক্ষমা প্রার্থনার আবেদন করা তাঁর জীবনের সাথে খাস; তার মৃত্যুর পর নয়। তার মৃত্যুর পর তাঁর কাছে ক্ষমা প্রার্থনার আবেদন করা হয়নি। উত্তম যুগ শেষ হওয়ার পর এবং বিদ‘আত সয়লাব ও মূর্খতা ছড়িয়ে পড়ার পর পরবর্তী যুগে কতক লোক এরূপ কাজ করে যাচ্ছে। অতএব তাদের কতকের এরূপ কাজ সাহাবী ও উত্তম-ভাবে তাদের অনুসারী গভীর জ্ঞান সম্পন্ন সালাফে সালেহীন ও সঠিক পথপ্রাপ্ত ইমামদের নীতির পরিপন্থী।