উত্তর: বল, সেটি হলো শির্ক। আল্লাহ তা‘আলা বলেন,
﴿لَقَدۡ كَفَرَ ٱلَّذِينَ قَالُوٓاْ إِنَّ ٱللَّهَ هُوَ ٱلۡمَسِيحُ ٱبۡنُ مَرۡيَمَۖ وَقَالَ ٱلۡمَسِيحُ يَٰبَنِيٓ إِسۡرَٰٓءِيلَ ٱعۡبُدُواْ ٱللَّهَ رَبِّي وَرَبَّكُمۡۖ إِنَّهُۥ مَن يُشۡرِكۡ بِٱللَّهِ فَقَدۡ حَرَّمَ ٱللَّهُ عَلَيۡهِ ٱلۡجَنَّةَ وَمَأۡوَىٰهُ ٱلنَّارُۖ وَمَا لِلظَّٰلِمِينَ مِنۡ أَنصَارٖ ٧٢﴾ [المائدة: ٧٢]
“অবশ্যই তারা কুফরী করেছে, যারা বলেছে, নিশ্চয় আল্লাহ হচ্ছেন মারইয়াম পুত্র মাসীহ। আর মাসীহ বলেছে, হে বনী ইসরাইল, তোমরা আমার রব ও তোমাদের রব আল্লাহর ইবাদত করো। নিশ্চয় যে আল্লাহর সাথে শির্ক করে, তার ওপর অবশ্যই আল্লাহ জান্নাত হারাম করে দিবেন এবং তার ঠিকানা জাহান্নাম। আর যালিমদের কোন সাহায্যকারী নেই”। [সূরা আল-মায়েদাহ, আয়ত: ৭২] তিনি আরো বলেন,
﴿إِنَّ ٱللَّهَ لَا يَغۡفِرُ أَن يُشۡرَكَ بِهِۦ وَيَغۡفِرُ مَا دُونَ ذَٰلِكَ لِمَن يَشَآءُۚ ٤٨﴾ [النساء : ٤٨]
“নিশ্চয় আল্লাহ তার সাথে শির্ক করাকে ক্ষমা করেন না। তিনি ক্ষমা করেন এ ছাড়া অন্যান্য পাপ, যার জন্য তিনি চান”। [সূরা আন-নিসা, আয়াত: ৪৮] আল্লাহ তা‘আলা শির্ক গুনাহ ক্ষমা না করা দ্বারা প্রমাণিত হয় যে, এটি সবচেয়ে বড় গুনাহ। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের বাণী এ কথাকে আরো সুস্পষ্ট করেছে। তাঁকে যখন প্রশ্ন করা হলো, কোন গুনাহ সবচেয়ে বড়? তিনি বললেন, আল্লাহর সমকক্ষ নির্ধারণ করা, অথচ তিনি তোমাকে সৃষ্টি করেছেন। (সহীহ বুখারী ও মুসলিম) নিদ্দ অর্থ সমকক্ষ ও সদৃশ।
শির্ক হচ্ছে সৃষ্টি থেকে আল্লাহর জন্য কোনো শরীক তথা সমকক্ষ ও সদৃশ নির্ধারণ করা। চাই তা ফিরিশতা হোক, অথবা রাসূল অথবা অলী কিংবা অনুরূপ কেউ হোক। অতঃপর তার মধ্যে রুবুবিয়্যাতের কোনো গুণ অথবা বৈশিষ্ট্য আছে বলে বিশ্বাস করা। যেমন- সৃষ্টি করা অথবা সৃষ্টির কর্তৃত্ব করা অথবা সৃষ্টি-জগতের ব্যবস্থাপনা করা অথবা তার নৈকট্য হাসিল করার জন্য তার কাছে দু‘আ বা আশা করা অথবা তাকে ভয় অথবা তার ওপর ভরসা করা অথবা আল্লাহ ব্যতীত কিংবা আল্লাহ কাছে আশা-আকাঙ্ক্ষা করার পাশাপাশি তার কাছে আশা-আকাঙ্ক্ষা করা। ফলে তার জন্য আর্থিক অথবা প্রকাশ্য-অপ্রকাশ্য শারীরিক ইবাদত পেশ করা।