উত্তর: বল, না, এই কথা বলা ও বিশ্বাস করা বৈধ নয়। এটা কুফরের প্রকারসমূহের অন্যতম কুফর। এটি আল্লাহকে অস্বীকার ও তার হুকুম প্রত্যাখ্যান করা এবং কুফর-ঈমান ও হক-বাতিলকে সমান করার শামিল।বিবেকবান লোক আল্লাহর দীন ও তাগুতের দীনের একত্র করা ও সমান হওয়ার ভ্রান্তিতে কীভাবে সন্দেহ করতে পারে! তাওহীদ ও শির্ক এবং হক ও বাতিল কিভাবে একত্র হতে পারে? দীন ইসলাম হলো সত্য। তা ছাড়া অন্যসব দীন বাতিল। আল্লাহ তাঁর দীনকে পূর্ণ ও তার নিআমতকে সম্পূর্ণ করেছেন। তিনি বলেন,
ٱلۡيَوۡمَ أَكۡمَلۡتُ لَكُمۡ دِينَكُمۡ وَأَتۡمَمۡتُ عَلَيۡكُمۡ نِعۡمَتِي وَرَضِيتُ لَكُمُ ٱلۡإِسۡلَٰمَ دِينٗاۚ [المائدة: ٣]
“আজ আমি তোমাদের জন্যে তোমাদের দীনকে পূর্ণ করেছি এবং তোমাদের ওপর আমার নিআমত সম্পূর্ণ করেছি এবং তোমাদের জন্য দীন হিসেবে ইসলামকে পছন্দ করেছি”। [সূরা আল-মায়েদাহ, আয়াত: ৩] অতএব তাতে হ্রাস ও বৃদ্ধি করা বৈধ নয় এবং তাকে অন্যান্য কুফরি ও তাগুতী ধর্মের সমান করা বা তার সাথে একত্র করা বৈধ নয়। কোনো বিবেকবান মুসলিম এটা বৈধ বলে বিশ্বাস করতে পারে না এবং সামান্য ঈমান ও বিবেকের অধিকারী তার জন্যে চেষ্টা করতে পারে না। আল্লাহ তা‘আলা বলেন,
وَمَن يَبۡتَغِ غَيۡرَ ٱلۡإِسۡلَٰمِ دِينٗا فَلَن يُقۡبَلَ مِنۡهُ وَهُوَ فِي ٱلۡأٓخِرَةِ مِنَ ٱلۡخَٰسِرِينَ [ال عمران: ٨٥]
“আর যে কেউ ইসলাম ব্যতীত অন্য দীন অন্বেষণ করবে, তার থেকে কখনো তা গ্রহণ করা হবে না এবং সে আখিরাতে ক্ষতিগ্রস্তদের অন্তর্ভুক্ত হবে”। [সূরা আলে-ইমরান, আয়াত: ৮৫] নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, “ঐ সত্তার কসম, যার হাতে মুহাম্মাদের প্রাণ, এই উম্মত থেকে যে কেউ আমার সম্পর্কে শুনবে, হোক সে ইহুদী ও খ্রিস্টান অতঃপর আমি যে দীন নিয়ে প্রেরিত হয়েছি তার ওপর ঈমান না এনেই মারা যাবে, সে অবশ্যই জাহান্নামের অধিবাসী হবে”। হাদীসটি ইমাম মুসলিম বর্ণনা করেছেন।