প্রশ্ন: যখন তোমাকে জিজ্ঞেস করা হয়, নিম্নের হাদীসগুলো কি সহীহ, না রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের ওপর অপবাদ? যেমন বলা হয়ে থাকে, তিনি বলেছেন, “যখন তোমাদের বিষয়াদি কঠিন হয়, তখন তোমাদের ওপর কর্তব্য হলো, কবর যিয়ারত করা”। অনুরূপ “যে হজ করল কিন্তু আমার যিয়ারত করল না, সে আমার সাথে দুর্ব্যবহার করল”। অনুরূপ “যে একই বছর আমার ও আমার পিতা ইবরাহিমের কবর যিয়ারত করবে আমি তার জন্যে আল্লাহর পক্ষ হতে জান্নাতের জিম্মাদার হয়ে যাবো”। অনুরূপ “যে আমার মৃত্যুর পর আমার কবর যিয়ারত করলো, সে যেন আমার জীবদ্দশায় আমার সাথে সাক্ষাৎ করলো”। অনুরূপ যে কোনো জিনিসে বিশ্বাস করবে সে জিনিস তাকে উপকার করবে”। অনুরূপ “তোমরা আমার সম্মান দ্বারা উসিলা গ্রহণ কর। কারণ আমার সম্মান আল্লাহর নিকট অনেক বড়”। অনুরূপ “হে আমার বান্দা আমার অনুসরণ কর, তাহলে আমি তোমাকে তাদের অন্তর্ভুক্ত করব, যারা কোনো জিনিসকে হতে বললেই হয়ে যায়”। অনুরূপ “নিশ্চয় আল্লাহ মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের নুর থেকে সকল মাখলুক সৃষ্টি করেছেন”।

উত্তর: বল, এ হাদীসগুলো নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের ওপর মিথ্যা অপবাদ। কবর ও মাজার পূজারীরা এগুলো প্রচার করে। বস্তুত যিনি কোনো বস্তুকে কুন বললে হয়ে যায় তিনি হলেন আল্লাহ তা‘আলা। তিনি এক। তার কোনো শরীক, সমকক্ষ ও সদৃশ নেই। আমরা তাঁর পবিত্রতা বর্ণনা ও প্রশংসা করি। নবী, অলী বা অন্য কোনো মাখলুক এরূপ করতে পারে না। তারা এর মালিকও নয়। আল্লাহ তা‘আলা বলেন,

إِنَّمَآ أَمۡرُهُۥٓ إِذَآ أَرَادَ شَيۡ‍ًٔا أَن يَقُولَ لَهُۥ كُن فَيَكُونُ [يس: ٨٢]

“তাঁর ব্যাপারটি এরূপ যে তিনি যখন কোনো কিছু সৃষ্টি করতে চান, তখন কেবল বলেন, হও। সাথে সাথেই তা হয়ে যায়”। [সূরা ইয়াসীন, আয়াত: ৮২] তিনি আরো বলেন,

أَلَا لَهُ ٱلۡخَلۡقُ وَٱلۡأَمۡرُۗ تَبَارَكَ ٱللَّهُ رَبُّ ٱلۡعَٰلَمِينَ [الاعراف: ٥٣]

“জেনে রেখো! সৃষ্টি ও নির্দেশ তাঁরই। জগতসমূহের রব আল্লাহ তা‘আলা বরকতময়”। [সূরা আল-আরাফ: ৫৪] সীমাবদ্ধতার অর্থ বর্ণনা করার জন্য এখানে পরে আসার শব্দকে আগে আনা হয়েছে। এর মাধ্যমে সৃষ্টি ও ব্যবস্থাপনাকে আল্লাহর জন্যে সীমাবদ্ধ করা হয়েছে। তিনি একক, তাঁর কোনো শরীক নেই।