আল্লাহ তা‘আলা বলেছেন,
﴿وَأَيُّوبَ إِذۡ نَادَىٰ رَبَّهُۥٓ أَنِّي مَسَّنِيَ ٱلضُّرُّ وَأَنتَ أَرۡحَمُ ٱلرَّٰحِمِينَ٨٣﴾ [الانبياء: ٨٣]
“আর স্মরণ করুন আইউবের কথা, যখন সে তার রবকে আহ্বান করে বলেছিল, আমি দুঃখ-কষ্টে পতিত হয়েছি। আর আপনি তো সর্বশ্রেষ্ঠ দয়ালু।” [সূরা আল-আম্বিয়া, আয়াত: ৮৩]
এ দো‘আয় তাওহীদের হাকীকত ও নিজের অভাব, রবের সমীপে তার প্রয়োজনীয়তা, তাঁর তোষামোদে ভালোবাসার স্বাদ পাওয়া, তাঁর রহমতের গুণের স্বীকৃতি, তিনি যে আরহামুর রাহিমীন তথা সর্বাধিক দয়াবান তা স্বীকার করা, তাঁর গুণাবলীর উসিলা দেওয়া, নিজের কঠিন অভাবের কথা প্রকাশ করা ইত্যাদি একত্রিত হয়েছে। মুসিবতে পতিত ব্যক্তি যখন এভাবে বিনীতভাবে নিজের অভাবের কথা বলবে তখন তাঁর মুসিবত দূর করা হবে।
বলা হয়ে থাকে যে, তিনি এ দো‘আ সাতবার বলেছেন (বিশেষভাবে একথা জানার পরে) আল্লাহ তার বিপদ দূর করে দিয়েছেন।
আল্লাহ তা‘আলা তাঁর নবী ইউসুফ ‘আলাইহিস সালামের পক্ষ থেকে বলেছেন,
﴿أَنتَ وَلِيِّۦ فِي ٱلدُّنۡيَا وَٱلۡأٓخِرَةِۖ تَوَفَّنِي مُسۡلِمٗا وَأَلۡحِقۡنِي بِٱلصَّٰلِحِينَ١٠١﴾ [يوسف: ١٠١]
“হে আসমানসমূহ ও জমিনের স্রষ্টা, দুনিয়া ও আখিরাতে আপনিই আমার অভিভাবক, আমাকে মুসলিম অবস্থায় মৃত্যু দিন এবং নেককারদের সাথে আমাকে যুক্ত করুন।” [সূরা ইউসুফ, আয়াত: ১০১]
এ দো‘আয় তাওহীদের স্বীকৃতি, রবের কাছে আত্মসমর্পণ, তাঁর কাছে মুখাপেক্ষীতা প্রকাশ, তিনি ব্যতীত অন্যের অভিভাবকত্ব থেকে মুক্ত থাকা ইসলামের ওপর মারা যাওয়া বান্দার সর্বাধিক লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য, আর এটি বান্দার হাতে নয়; বরং আল্লাহর হাতে, কিয়ামতের স্বীকৃতি ও সৌভাগ্যবানদের সাথে থাকার প্রত্যাশা এখানে সন্নিবেশিত হয়েছে।