সুখ-শান্তি সকল মানুষেরই কাম্য; বরং প্রতিটি প্রাণীরই কাঙ্খিত বিষয়। সুতরাং সুখকে সুখ হিসেবে পেলে তাকে কেউ নিন্দা করা হয় না। কিন্তু সুখটি ভোগের চেয়ে যদি ত্যাগ করা অধিক কল্যাণকর হয়, এর চেয়ে অধিক উপকারী ও পূর্ণাঙ্গ কিছু প্রাপ্তির আশা থাকে থাকে বা এ সুখের পরে যদি এর চেয়ে বড় দুঃখ-কষ্ট ভোগ করতে হয় তখন সে সুখটি ভোগ করা নিন্দনীয়। এখানেই বুদ্ধিমান ও জ্ঞানী এবং অজ্ঞ আহমকের মধ্যে পার্থক্য স্পষ্ট হয়। জ্ঞানী ব্যক্তি যখন দু’টি সুখ ও দু:খের মধ্যে পার্থক্য বুঝতে পারে এবং একটির সাথে অন্যটির তুলনা হয় না তখন সে দু’টি সুখের মধ্যে অধিক বড় সুখ পাওয়ার জন্য ছোটটি ত্যাগ করে এবং কঠিন কষ্ট থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য দু’টি কষ্টের মধ্যে অধিকতর সহজ কষ্টটি ভোগ করে।
এ কায়েদাটি যখন আপনার কাছে স্পষ্ট হলো তখন জেনে রাখুন, আখিরাতের সুখ-শান্তি দুনিয়ার সুখের চেয়ে অধিক ও চিরস্থায়ী। আর দুনিয়ার সুখ তুচ্ছ ও ক্ষণস্থায়ী। এমনিভাবে আখিরাতের দুঃখ-কষ্টও দুনিয়ার দুঃখ-কষ্টের চেয়ে মারাত্মক ও যন্ত্রনাদায়ক। এ সব নির্ভর করে ঈমান ও ইয়াকীনের ওপর। সুতরাং ইয়াকীন যখন শক্তিশালী হয় এবং অন্তর সে কাজে সম্পৃক্ত হয় তখন সুখ ভোগের ক্ষেত্রে অন্তর ছোটটির ওপর বড়টিকে প্রধান্য দেয় এবং দুঃখ-কষ্ট ভোগের ক্ষেত্র অধিক কঠিন শাস্তির তুলনায় অধিকতর সহজ কষ্টকে মেনে নেয়। আল্লাহই সাহায্যকারী।