আল্লাহ তা‘আলা বলেছেন,
﴿وَكَذَٰلِكَ نُفَصِّلُ ٱلۡأٓيَٰتِ وَلِتَسۡتَبِينَ سَبِيلُ ٱلۡمُجۡرِمِينَ٥٥﴾ [الانعام: ٥٥]
“আর এভাবেই আমরা আয়াতসমূহ বিস্তারিত বর্ণনা করি। আর যাতে অপরাধীদের পথ স্পষ্ট হয়ে যায়।” [সূরা আল-আন‘আম, আয়াত: ৫৫] আল্লাহ তা‘আলা বলেছেন,
﴿وَمَن يُشَاقِقِ ٱلرَّسُولَ مِنۢ بَعۡدِ مَا تَبَيَّنَ لَهُ ٱلۡهُدَىٰ وَيَتَّبِعۡ غَيۡرَ سَبِيلِ ٱلۡمُؤۡمِنِينَ نُوَلِّهِۦ مَا تَوَلَّى١١٥﴾ [النساء : ١١٥]
“আর যে রাসূলের বিরুদ্ধাচরণ করে তার জন্য হিদায়াত প্রকাশ পাওয়ার পর এবং মুমিনদের পথের বিপরীত পথ অনুসরণ করে, আমি তাকে ফেরাব যেদিকে সে ফিরে।” [সূরা আন-নিসা, আয়াত: ১১৫]
আল্লাহ তা‘আলা মুমিনদেন যেভাবে বিস্তারিত বর্ণনা করেছেন, তেমনিভাবে অপরাধীদের পথও বিস্তারিতভাবে বর্ণনা করেছেন এবং উভয়ের পরিণতি, কর্ম, তাদের বন্ধু-বান্ধব, মুমিনদের জন্য আল্লাহর তাওফীক আর পাপীদেরকে আল্লাহর পরিত্যাগ, মুমিনদের তাওফীকের উপায়সমূহ ও অপরাধীদেরকে আল্লাহর পরিত্যাগের কারণসমূহ উল্লেখ করেছেন। আল্লাহ এ দু’টি বিষয় তাঁর কিতাব আল-কুরআনে সুস্পষ্ট করেছেন, খুলে বলেছেন, ব্যাখ্যা করেছেন এবং এদুটি পথ স্পষ্ট করার কারণও বিস্তারিতভাবে উল্লেখ করেছেন যাতে আলো ও অন্ধকার দর্শনের ন্যায় চক্ষুবানরা তা দেখতে পায় ও বুঝতে পারে।
যে ব্যক্তি অপরাধীদের পথ চিনতে পারে না এবং সে পথ যদি তার কাছে স্পষ্ট না হয় তবে সে পাপীদের পথকে মুমিনদের পথ মনে করবে। বিশ্বাস, ইলম ও আমলের ক্ষেত্রে যেমনটি এ উম্মতের মাঝে পরিলক্ষিত হয়, যে গুলো পাপী, কাফির ও রাসূলদের শত্রুর পথ সেগুলো সম্পর্কে জ্ঞান না থাকায় তারা এ পথকে মুমিনদের পথের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত করে ফেলেছে এবং তারা সেদিকে মানুষকে ডাকছে, যারা এ পথের বিরোধী তাদেরকে তারা কাফির বলছে, আল্লাহ ও তাঁর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যা কিছু হারাম করেছেন সেগুলোকে তারা হালাল মনে করছে। যেমনটি করছে অধিকাংশ বিদ‘আতীরা বিশেষ করে জাহমিয়্যাহ, কাদরিয়্যাহ, খাওয়ারিজ, রাওয়াফিয ও তাদের অনুরূপ বিদ‘আতীগণ, যারা বিদ‘আত সৃষ্টি করে লোকদেরকে সে বিদ‘আতের দিকে আহ্বান কররছে এবং এর বিরোধীদেরকে কাফির বলছে।