তাওহীদ তার শত্রু ও মিত্র সবার জন্য বিপদের আশ্রয়স্থল। শত্রুকে দুনিয়ার বালা-মুসীবত থেকে রক্ষা করে। যেমন আল্লাহ তা‘আলা বলেছেন,
﴿فَإِذَا رَكِبُواْ فِي ٱلۡفُلۡكِ دَعَوُاْ ٱللَّهَ مُخۡلِصِينَ لَهُ ٱلدِّينَ فَلَمَّا نَجَّىٰهُمۡ إِلَى ٱلۡبَرِّ إِذَا هُمۡ يُشۡرِكُونَ٦﴾ [العنكبوت: ٦٥]
“তারা যখন নৌযানে আরোহন করে, তখন তারা একনিষ্ঠভাবে আল্লাহকে ডাকে। অতঃপর যখন তিনি তাদেরকে স্থলে পৌঁছে দেন, তখনই তারা শির্কে লিপ্ত হয়।” [সূরা আল-‘আনকাবূত, আয়াত: ৬৫]
অন্যদিকে তাওহীদ তার অনুসারীদেরকে দুনিয়ার বালা-মুসিবত ও আখিরাতের মহাবিপদ থেকে রক্ষা করবে। এ কারণেই ইউনুস আলাইহিস সালাম যখন মাছের পেটে মহাবিপদে পড়েছিল তখন এ তাওহীদের আশ্রয় নিয়েছিল, ফলে আল্লাহ সেসব অন্ধকার থেকে তাকে রক্ষা করেছিলেন।
আর রাসূলদের অনুসারীগণ ভীত হয়ে এ তাওহীদের আশ্রয় নিয়েছিল, তখন দুনিয়াতে মুশরিকরা তাদেরকে যে আযাব দিচ্ছিল তা থেকে এ তাওহীদের দ্বারাই তারা রক্ষা পেয়েছিল, আর তাদের জন্য পরকালে তো আল্লাহ মহাপ্রতিদান তৈরি করে রেখেছেনই।
ফির‘আউনের ধ্বংস ও ডুবে যাওয়া স্বচক্ষে অবলোকন করার সময় তার তাওহীদ কোনো উপকারে আসে নি। কেননা স্বচক্ষে ধ্বংস দেখার সময় ঈমান আনয়ন করলে তা গ্রহণযোগ্য হয় না।
বান্দার ব্যাপারে এটি আল্লাহর চিরাচরিত বিধান। দুনিয়ার কঠিন বালা-মুসিবত থেকে রক্ষা পেতে তাওহীদের মতো অন্য কিছু নেই। এ কারণেই তাওহীদের মাধ্যমে বিপদমুক্তির দো‘আ করা হয়। যুননূন ইউনুস আলাইহিস সালামের দো‘আ, তা যখনই কোনো বিপদগ্রস্ত ব্যক্তি পড়ে আল্লাহ তাকে তা থেকে উদ্ধার করেন, সেটাও তাওহীদেরই দো‘আ ছিল। মানুষকে মহাবিপদে নিক্ষেপকারী হিসেবে শির্কের কোনো জুড়ি নেই। আর তাওহীদ ব্যতীত শির্কের এ মহাবিপদ থেকে মুক্তকারীও কিছু নেই। তাওহীদ হলো আল্লাহর সৃষ্টিকুলের জন্য ভীতি দূরকারী, আশ্রয় প্রদানকারী, দুর্গ ও সাহায্যকারী। আর আল্লাহই একমাত্র তাওফীক দানকারী।