হাজী সাহেব কর্তৃক হজের প্রসিদ্ধ কাজগুলো শেষ হওয়া এবং ‘বায়তুল্লাহ আল-হারাম’-এ বিদায়ী তাওয়াফ করার মধ্য দিয়ে তার হজের কাজ শেষ হয়ে যায় এবং সে তার দায়িত্বমুক্ত হয়ে যায়; তারপর এ কাজগুলোর পরে সবচেয়ে প্রিয় কাজ হলো ‘মাসজিদে নববী’ যিয়ারতের উদ্দেশ্যে নবীর শহর ‘মদীনা’-তে যাওয়া, আর এটা তার জন্য মুস্তাহাব এবং সাথে নিম্নোক্ত বিষয়গুলোর প্রতি লক্ষ্য রাখতে হবে:
প্রথমত: এমন আকীদা পোষণ করা যে, ‘মাসজিদে নববী’ যিয়ারত করাটা একটি মুস্তাহাব কাজ, হজের সাথে তার কোনো সম্পর্ক নেই।
দ্বিতীয়ত: ‘হজ’-এর অধ্যায়ের পর ফকীহগণ কর্তৃক ‘মাসজিদে নববী’ যিয়ারত করার প্রসঙ্গটির উল্লেখ করাটা হলো আলোচনার ধারাবাহিকতা রক্ষার কারণে এবং হাজী সাহেবকে সেটার প্রতি উৎসাহিত করার জন্য।
তৃতীয়ত: মাসজিদে নববী’ যিয়ারত করার বিষয়টি শুধু মাসজিদের সাথেই নির্দিষ্ট হওয়া; তারপর যদি সে তাতে প্রবেশ করে, তাহলে সে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের কবর যিয়ারত করবে এবং তাঁর প্রাতি সালাম পেশ করবে, আর মক্কা থেকে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের কবর যিয়ারত করা এবং সে উদ্দেশ্যে সফরের প্রস্তুতি গ্রহণ ও পরিকল্পনা করাটা তার উদ্দেশ্য না হওয়া।
চতুর্থত: তার উদ্দেশ্য হবে অন্য কোথাও ভ্রমণ না করে সরাসরি ‘মাসজিদে নববী’-তে গমন করা। সুতরাং শরী‘আতের দিক থেকে ‘সাওর গুহা’, ‘আবওয়ায় অবস্থিত আমেনার কবর’, ‘হিজরতের রাস্তা’ ইত্যাদি স্থানসমূহের মতো স্মৃতি বিজড়িত ঐতিহাসিক স্থানসমূহ যিয়ারত করার বিষয়টি হাজী সাহেবের নিকট শরী‘আত কখনও দাবি করে না, যেমনটি কোনো কোনো হাজী সাহেব সেসব স্থান ভ্রমণের ইচ্ছা করে থাকেন।
পঞ্চমত: ‘মাদীনায়ে নববী’-তে এমন কতগুলো স্থান রয়েছে, কোনো কোনো হাজী সাহেব সেগুলো ভ্রমণের ইচ্ছা ও পরিকল্পনা করে থাকেন, যার সাথে হজের কর্মসূচীর কোনো সম্পর্ক নেই, আর হাজী সাহেব তা যিয়ারত করতে বাধ্যও নন, যেগুলোর অধিকাংশের ফযীলত ও শ্রেষ্ঠত্বের ব্যাপারে কোনো দলীল-প্রমাণ নেই।
এ অংশের মধ্যে এসব মাসয়ালা কেন্দ্রিক আমাদের আলোচনা চলতে থাকবে ইনশাআল্লাহ।