১- যাকাতুল ফিতর শরী‘আতসম্মত হওয়ার হিকমত:
যাকাতুল ফিতর শরী‘আতসম্মত হওয়ার হিকমত হলো এ সাদাকা সাওম পালনকারীর আত্মাকে ভুলত্রুটি ও অশ্লীল কথাবার্তা থেকে পবিত্র করে। এমনিভাবে ঈদের দিনে ফকির ও মিসকীনকে অন্যের কাছে সাহায্য চাওয়া থেকে মুক্ত রাখে।
২- যাকাতুল ফিতরের পরিমাণ ও যেসব খাদ্য থেকে আদায় করা যাবে:
যাকাতুল ফিতরের পরিমাণ হলো প্রত্যেক ব্যক্তির পক্ষ থেকে এক সা‘ করে আদায় করতে হবে। আর সা‘ হচ্ছে চার মুদ্দ। আর এক সা‘ প্রায় তিন কিলো। দেশের প্রচলিত মানব-খাদ্য থেকে, যেমন গম, খেজুর, চাল, কিসমিস অথবা পনির দ্বারা আদায় করতে হবে।
৩- যাকাতুল ফিতর কখন ওয়াজিব ও কখন আদায় করতে হয়:
ঈদুল ফিতরের রাত আগমনের সাথে সাথেই যাকাতুল ফিতর ওয়াজিব হয়। আর যাকাতুল ফিতর আদায়ের সময় হচ্ছে ঈদের একদিন বা দু’দিন পূর্ব থেকে। কারণ ইবন উমার রাদিয়াল্লাহু ‘আনহুমা এভাবে করতেন। আর আদায়ের উত্তম সময় হচ্ছে ঈদের দিন সূর্যোদয়ের পর ও ঈদের সালাতের সামান্য পূর্ব পর্যন্ত। কেননা রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মানুষকে ঈদের সালাতে বের হওয়ার পূর্বে আদায় করার নির্দেশ দিয়েছেন।
৪- কাদের ওপর যাকাতুল ফিতর ওয়াজিব:
ঈদের দিন ও রাতে যে মুসলিম ব্যক্তি তার নিজের ও পরিবারের খাবারের অতিরিক্ত খাদ্যের মালিক হবে তার ওপর ও তার দাস-দাসী, নারী-পুরুষ, ছোট-বড় সকলের ওপর যাকাতুল ফিতর ওয়াজিব। মাতৃগর্ভে ভ্রূণের পক্ষ থেকেও যাকাতুল ফিতর আদায় করা মুস্তাহাব।
৫- যাকাতুল ফিতর বণ্টনের খাতসমূহ:
সাধারণত যাকাতের খাতসমূহই হলো যাকাতুল ফিতরের খাত। তবে অন্য খাতের চেয়ে ফকির ও মিসকীনকে প্রদান করা উত্তম। কেননা রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,
« أغنوهم عن السؤال في هذا اليوم».
“তোমরা তাদেরকে এ দিনে (ঈদের) কারো কাছে হাত পাতা থেকে মুক্ত রাখো।”