ক- যাকাত আদায়ের সময়:

মানত ও কাফফারার মতো যাকাত তাৎক্ষণিক আদায় করা ফরয। কেননা আল্লাহর আদেশ সাধারণভাবে তাৎক্ষণিক আদায় করাই কামনা করে। যেমন আল্লাহ তা‘আলা বলেছেন,

﴿وَءَاتَوُاْ ٱلزَّكَوٰةَ﴾ [البقرة: ٢٧٧]

“এবং তোমরা যাকাত দাও”। [সূরা আল-বাকারা, আয়াত: ২৭৭]

তবে যাকাত প্রদানকারী প্রয়োজনের সময়ে দেওয়ার জন্য, আত্মীয়দের দেওয়ার জন্য ও প্রতিবেশীর জন্য বিলম্ব করতে পারবে।

খ- যাকাত অস্বীকারকারীর হুকুম:

কেউ জেনে-শুনে ইচ্ছাকৃত ভাবে যাকাত ফরয হওয়া অস্বীকার করলে সে যাকাত আদায় করলেও আল্লাহ, তাঁর রাসূল ও উম্মাহর ইজমাকে অস্বীকার এ মিথ্যা প্রতিপন্ন করার কারণে কাফির হয়ে যাবে এবং তাকে তাওবা করতে হবে; কিস্তু তাওবা না করলে তাকে কুফরীর কারণে হত্যা করা হবে। আর কেউ যাকাত ফরয হওয়াকে স্বীকার করে; কিন্তু কৃপণতা ও অবজ্ঞার কারণে যাকাত আদায় করতে অস্বীকৃতি জানালে তার থেকে জোর করে যাকাত আদায় করা হবে এবং হারাম কাজে লিপ্ত হওয়ার কারণে তাকে শাস্তি ও তিরস্কার করা হবে।

শিশু ও পাগলের পক্ষ থেকে তার অভিভাবক যাকাত আদায় করে দিবে।

গ- যাকাত আদায়ের সময় যে কাজ করা সুন্নাত:

১- যাকাত না আদায়ের অপবাদ থেকে মুক্তি পেতে প্রকাশ্যে যাকাত আদায় করা সুন্নাত।

২- যাকাতের হকদারের কাছে যথাযথভাবে যাকাত পৌঁছাতে নিজেই তদারকি করা।

৩- যাকাত প্রদানের সময় এ দো‘আ পড়া:

«اللهم اجعلها مغنما ولا تجعلها مغرما»

“হে আল্লাহ এটাকে গণীমত হিসেবে পরিণত কর, জরিমানা হিসেবে নয়”।

৪- যাকাত গ্রহীতা যাকাত গ্রহণের সময় এ দো‘আ পড়া:

« أجرك اللّه فيما أعطيت. بارك لك فيما أبقيت وجعله لك طهورا».

“তুমি যা দিয়েছ তাতে আল্লাহ প্রতিদান দিন, যা বাকী রেখেছ তাতে বরকত দিন আর তা তোমার জন্য পবিত্রকারী বানিয়ে দিন।”

৫- নিজের যেসব আত্মীয়-স্বজনের দায়-দায়িত্ব নেওয়া অত্যাবশ্যকীয় নয় সেসব গরীব আত্মীয়-স্বজনকে যাকাত প্রদান করা সুন্নাত।